তাজিয়া মিছিলে মানুষের ঢল (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১১:৪১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস।
আশুরা উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাজিয়া মিছিল বের করা হয় হয়েছে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকার হোসেনি দালান থেকে।
ঘোড়া, কবুতর ও নিশানসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে হোসেনি দালান প্রাঙ্গণ থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল। তাজিয়া মিছিল রাজধানীর জিগাতলা হয়ে ধানমণ্ডি লেক এলাকায় শেষ হবে।
এর আগে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে সকাল থেকেই হোসেনি দালান এলাকায় জড়ো হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ শিয়া মুসলিমরা।
হোসনি দালান ইমামবাড়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ নাকি আসলাম জানান, ৪০০ বছর ধরে পুরান ঢাকায় শোকের মাতম অর্থাৎ তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। কারবালায় ইমাম হোসেনসহ তার পরিবারকে হত্যার মধ্যদিয়ে যে বিষাদময় ঘটনা ঘটেছে ইতিহাসে তার পুনরাবৃত্তি হবে না। মিছিলে বিভিন্ন ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষ অংশ নিয়েছে।
তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে হোসনী দালান ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মিছিলে বল্লম, তরবারি, ছোরাসহ পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি পুলিশ। সাদা পোশাকের পাশাপাশি সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তবেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। সে কারণে অনেকেরই ভেতরে ঢুকতে দেরি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও আজ পালন করছে দিবসটি।
৬১ হিজরির ১০ মুহাররম কারবালায় যুদ্ধে হজরত মুহম্মদ (সা.)এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনসহ ৭২ জন শহীদ হন। তারপর থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে সারা বিশ্বের মুসলমানরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।