ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তারেক রহমান-আবদুস সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৪২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার আরও দুই আসামি ছিলেন, একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও সিনিয়র প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর তারেক রহমান, আব্দুস সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

সেদিন আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন,অ্যাডভেকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন প্রমুখ।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে। পরদিন তারেক রহমান ও আব্দুস সালামের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা-পুলিশ। অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি মামলা করেন। 

অভিযোগে বলা হয়, লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দেখানো, প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।   

তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক ও সালামের সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান এবং জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ারের নাম যোগ করা হয়। পরে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আব্দুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেন।  হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে গত ৩১ অক্টোবর রায় দেওয়া হয়।     

এমবি//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি