ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি: মরদেহ পেয়ে মাদারীপুরে শোকের মাতম

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০৮, ৪ মে ২০২৪

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি: মাদারীপুরে ৫ জনের দাফন সম্পন্ন

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ৫ জনই মাদারীপুরের। ঘটনার ৭৮ দিন পর শুক্রবার (৩ মে) বিকালে তাদের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। 

শুক্রবার সন্ধ্যার পর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন ও শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।  

আদরের সন্তানদের হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো। অন্যদিকে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী। 

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে তিউনিসিয়া থেকে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দের পৌঁছায় নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ। পরে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। আইনী প্রক্রিয় শেষে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয় ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বিমানবন্দর থানা পুলিশ। 

পরে মরদেহগুলো নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈরে। ধর্মীয় রীতি শেষে নিহতদের দাফন করা হয় নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে।

স্বজনরা জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাজৈর ও মুকসুদপুরের কয়েকজন যুবক ইতালীর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রথমে তারা বিমানযোগে যায় লিবিয়া। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া থেকে দালালদের মাধ্যমে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় তারা। মাঝপথে তিউনিসিয়ার ভুমধ্যসাগরে ইঞ্জিন ফেটে আগুন ধরে ডুবে যায় নৌকাটি। 

এতে মাদারীপুরের রাজৈরের কোদালিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান কাজীর ছেলে সজীব কাজী, পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মামুন শেখ, সেনদিয়া গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগী, উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, কেশরদিয়া গ্রামের কাওসার মারা যান।

অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদন মিয়ার ছেলে রিফাদ মিয়া, ফতেয়াপট্টি এলাকার মো. রাসেল ও গয়লাকান্দি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইসরুল কায়েস আপন প্রাণ হারান।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি