তিতাসের পাইপের ওপর ওভারব্রিজের পিলার তৈরির অভিযোগ
প্রকাশিত : ২০:৫৩, ১৮ মে ২০১৯
রাজধানী ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলে তিতাস গ্যাসের প্রধান লাইনের পাইপের উপর নির্মাণ করছে ফুটওভার ব্রিজের খুটি। বিশাল এই খুটির চাপে তিতাসের মেইন লাইনের পাইপটিও রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসহ (ডিইপিজেড) পুরো শিল্পাঞ্চলের গ্যাস সংযোগে বিঘ্ন সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তিতাস কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে বাইপাইল স্ট্যান্ডের আজিজ সিএনজি পাম্পের সন্নিকটে ফুট ওভারব্রিজের কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন। সেখানে রাস্তার উভয়পাশেই তিতাস গ্যাসের ১৬ ও ২০ ইঞ্চি পাইপের ওপর নিন্মমানের সামগ্রী দিয়েই ওভারব্রিজের খুঁটির ঢালাই দেওয়া হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আপত্তির পরও থেমে নেই তাদের কাজ।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদের বিভাগের এক্সচেঞ্জ প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, বাইপাইল বাসস্ট্যন্ডে ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি শুনেছি। তিনি মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, গ্যাস পাইপের ওপর ব্রিজের খুঁটি পড়লেও পাইপের কোন ক্ষতি হবে না।
এদিকে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা খুঁটির কারণে পাইপের মারাত্মক সমস্যার কথা বললেও তাদের কোন কথাই শুনছেন না সড়ক ও জনপদের প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। স্থানীয়রাও গ্যাস পাইপের ওপর খুঁটি দিয়ে ওভারব্রিজ র্নিমানের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্স মিশনের ডেপুটি ব্যবস্থাপক (ডিস্ট্রিভিওশন) আহম্মদ উল্লাহ বলেন, আমাদের সাভার অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয সাংবাদিকদের নিকট থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওভার ব্রিজ নির্মাণে কোন বাঁধা দেওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে তিতাস গ্যাসের প্রধান লাইনের পাইপের উপর দিয়ে খুঁটি যাওয়া কোনক্রমেই ঠিক হবে না। ভবিষ্যতে তিতাস লাইনের কোন লিকেজ হলে তা মেরামতে অসুবিধা হবে।
তিনি আরও বলেন, ওভার ব্রিজ নির্মানের ক্ষেত্রে অবশ্যই তিতাসের পাইপ বাদ দিয়ে কাজ করতে হবে। তিতাস গ্যাসের মালঞ্চ লাইনটি মূলত: ডিইপিজেডসহ অধিকাংশ শিল্প কারখানার সংযোগ রয়েছে। যে কোন দুর্ঘটনায় ওভার ব্রিজটিও থাকবে সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপদের মানিকগঞ্জ অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ঝুঁকির বিষয়টিও বলেছি। তাতার তিতাস গ্যাসের পাইপ বাদ না দিলে আমরা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট জানাবো।
এদিকে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মানকারী ঠিকাদার আব্দুল ওহাবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর মুঠোফোনের সংযোগটি কেটে দেন।
কেআই/
আরও পড়ুন