তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ২ চরমপন্থী আটক
প্রকাশিত : ০৮:৫৩, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
পুলিশের গোপন অভিযানে অস্ত্র, গুলিসহ চরমপন্থী দলের দুই সদস্যকে আটকের দাবি করা হয়েছে। যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন এসব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে বেনাপোলের সীমান্ত এলাকা ধান্যখোলায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ (যশোর গোয়েন্দা শাখা) ওই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪০) ও উত্তরপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে আতিয়ার রহমানকে (৩০) আটক করে।
তিনি আরও জানান, যশোরের অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলা এবং খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে কথিত চরমপন্থী সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি ‘শ্রেণিশত্রু খতমের’ নামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজির জন্য কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তদন্তকালে তাদের অস্ত্র সরবরাহকারীদের তথ্য পাওয়া যায়। এরপর ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালানোর সময় মহিদুল ইসলাম ও আতিয়ার রহমানকে আটক করা হয়। পরে মহিদুলের বসতঘর থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, চরমপন্থী সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা দিপংকর ভারতে থাকেন। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার আন্ধা গ্রামের বাসিন্দা। সে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র-গুলি সরবরাহ করেন। চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা এ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মানুষ হত্যা করে।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আটককৃতদের মধ্যে আতিয়ারের নামে মাদক ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে। আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এসআই মফিজুল ইসলাম বেনাপোল পোর্ট থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রূপণ কুমার সরকার, ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন