তিন দাবিতে সায়েন্সল্যাব অবরোধ ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের
প্রকাশিত : ১৪:১৭, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
সাত কলেজ নিয়ে আলাদাভাবে স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান করে তিনদফা দাবি নিয়ে সড়কে নেমেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে সাইন্সল্যাব এলাকা। এতে সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা এই কমিশন প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা চাই অতি দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।
এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
এরপর গত মাঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।
এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হচ্ছে—
১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।
২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবেন।
৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোন সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন