তিন সন্তান প্রতিবন্ধী : জীবন যেন আর চলছে না সামেদ আলীর
প্রকাশিত : ১৬:২০, ১৫ অক্টোবর ২০১৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের চরইলিশমারী গ্রামে একই পরিবারে তিনজন প্রতিবন্ধী! এ গ্রামের দিন মজুর সামেদ আলী ও স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নয় সন্তান মিলে পরিবারে সদস্য মোট এগারো জন। এর মধ্যে তিন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিন মজুর সামেদ আলী।
সামেদ আলীর পাঁচ ছেলের মধ্যে সোহেল রানা (২০), শাহলাল (১৮) ও রাজ্জাক (১৫) বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। অন্য দুই জনের মধ্যে একজন মাছ ব্যবসায়ী ও একজন বাবার সাথে দিন মজুরের কাজ করে। চার কন্যার মধ্যে তিনজনের বিয়ে দিয়েছেন।
তিন প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে সামেদ আলী দিনমজুরের কাজ করেই চালাচ্ছেন সংসার। তাচ্ছিল্য আর দারিদ্রে জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। পরিবারটির ভাগ্যে জোটেনি কোনো সরকারি সাহায্য সহযোগিতা। সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতার প্রচলন থাকলেও সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি পড়েনি তাদের পরিবারে। তিন ছেলে উপার্জনে অক্ষম হওয়ায় খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে চলছে সামেদ আলীর সংসার।
সামেদ আলী জানান, সরকারি সুযোগ সুবিধাবা পেতে দীর্ঘদিন থেকে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কেউ তাদের দিকে তাকায়নি।
সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সভাপতি ও ইউনিয়ন সমাজকর্মী সদস্য সচিব, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে একটি প্রতিবন্ধী বাছাই কমিটি আছে। এই কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, আর সমাজ সেবা অফিস বাস্তবায়ন করে থাকে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন প্রতিবন্ধী বাছাই কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। দেবীনগর ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও ইউনিয়ন প্রতিবন্ধী বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মাসব্যাপী ছুটিতে দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন