ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

তৈরি পোশাক ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৩৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

খুচরা ক্রেতা থেকে শুরু করে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রধান প্রতিযোগী চীনের অংশ কমে আসা এবং প্রতিযোগিতামূলক দরের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষেই রয়ে গেছে। যা আগামী ৫ বছর অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন বিভিন্ন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোম্পানির এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি বিভিন্ন দেশের ৬৩টি বিখ্যাত ব্র্যান্ড এবং খুচরা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ক্রয় কর্মকর্তাদের (সিপিও) সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে  তৈরি করা হয়েছে।

`দ্য অ্যাপারেল সোর্সিং ক্যারাভানস নেক্সট স্টপ :ডিজিটাইজেশন` শীর্ষক জরিপে অংশ নেওয়া ব্র্যান্ডগুলোর প্রধান ক্রয় কর্মকর্তারা মনে করেন, বাংলাদেশ আরও ৫ বছর পর্যন্ত ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে। কর্মকর্তাদের ৪৯ শতাংশ মনে করেন, এখনও তাদের কাছে তৈরি পোশাকের উৎস দেশ বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় পছন্দের দেশ হিসাবে ইথিওপিয়ার নাম উঠে এসেছে। ৪৩ শতাংশ কর্মকর্তা তাদের পছন্দের কথা বলেছেন। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে মিয়ানমার। ৩৭ শতাংশ কর্মকর্তা মিয়ানমারকে পছন্দ করেছেন। রফতানিকারক ৫ দেশের মধ্যে ভিয়েতনামকে অনেক পেছনে রাখা হয়েছে। মাত্র ৩৫ শতাংশ কর্মকর্তা তাদের পছন্দের দেশ হিসেবে ভিয়েতনামকে উল্লেখ করেছেন। এই তালিকায় সবচেয়ে পেছনে রয়েছে ভারত। ২২ শতাংশ কর্মকর্তা ভারতকে তাদের পছন্দের কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম গণমাধ্যমকে জানান, ম্যাকেঞ্জির প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে শত বাধা পেরিয়ে দেশের পোশাক খাতে সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তুলনামূলক সাশ্রয়ী মজুরির যে সুবিধা আছে, তাতে আমরা এগোবই।

বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮১ ভাগই আসে পোশাক খাত থেকে। গত অর্থবছরে এ খাতে রফতানির আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৮১৫ কোটি ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পোশাক মালিক রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কর্মকর্তাই চীন থেকে তাদের ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ার কথা জানায়। চীনে অভ্যন্তরীণ বাজার চাহিদা এবং মজুরি বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসছেন ক্রেতারা।

আর/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি