থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে : রিজভী
প্রকাশিত : ১৩:৪১, ২২ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫৩, ২২ নভেম্বর ২০১৭
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যে হামলা হয়েছে সেটির পরিকল্পনা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই। সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নাই। ফেনী জেলা বিএনপি নেতার বক্তব্যে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রুহুল কবীর রিজভী।
রিজভী বলেন, সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা কখনোই সফল হয় না, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। তারা বলেছেন সম্প্রতি কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যে হামলা হয় তার নেপথ্যে ছিল ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। অথচ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যম ও মানুষের বাক স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে হরণ করতে সম্প্রচার আইন করতে যাচ্ছে সরকার। মূলত এই আইনের শিরোনামকে যতই ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হোক না কেন এটি বিরোধী দল, বহু মত বিশ্বাস স্বাধীন চিন্তার উপর কুঠারাঘাত করার জন্যই এই আইন পাস করার তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা বিরোধিতা ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বেপরোয়াভাবে দমন করার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে।
সম্প্রচার আইনের বিরোধিতা করে এই নেতা বলেন, এই ভোটারবিহীন সরকারের আমলে তাদের সৃষ্ট নানা গণবিরোধী আইনের মধ্যে এটি হবে আরেকটি ভয়াবহতম কালো আইন। বাংলাদেশের মানুষ এমন কালো আইন মেনে নেবে না। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে সরকারের এহেন সম্প্রচার আইন-২০১৭ পার্লামেন্টে পাস করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি করে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বর্তমান ভোটারবিহীন বাকশালী স্বৈরশাসকদের হটাতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যতই ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগ করুক না কেন তাদের শেষ রক্ষা হবে না। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অচিরেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, এম এ মালেক, কাজী আবুল বাশারসহ নেতারা।
/ এ / এআর /
আরও পড়ুন