থাইল্যান্ডে ৩৬ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২১:২৩, ১০ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২২:০৮, ১০ আগস্ট ২০১৭
দুই দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য রক্ষায় থাইল্যান্ডে ৩৬ ধরনের পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দুই হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এ সুযোগ চেয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিশন সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। থাইল্যান্ডের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উভয় দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সঙ্গে থাইল্যান্ডের বছরে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে ৯০ কোটি ডলারের বেশি আমদানি করা হয়। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের বাণিজ্য দুই হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে একমত হয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, এজন্য থাইল্যান্ড সরকার মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করাতে আগ্রহ। তার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। তবে এ চুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে রফতানি বাড়াতে তৈরি পোশাক, বাইসাইকেল, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ ৩৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছি। তারা এ বিষয়টি আলোচনা করে আমাদের জানাবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) স্বীকৃতি চেয়েছি। তারা বলেছেন থাইল্যান্ডের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি দেখবে এবং শিগগিরই তাদের সঙ্গে আমাদের বিএসটিআইয়ের একটি সমঝোতা হবে।
বৈঠকে থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে থাইল্যান্ড পাশে থাকবে। একই সঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করবে আমাদের সরকার।
এ সময় জানানো হয়, আগামীতে জয়েন্ট ট্রেড কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম সভা ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার মাধ্যমে এ সভার সময় নির্ধারিত হবে। ২০১৩ সালের তৃতীয় সভার পর চতুর্থ সভা হলো চার বছর পর। তবে পঞ্চম সভা এত দেরি হবে না বলেও জানানো হয়।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন