থামছে না সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৪, ৯ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১২:০৬, ৯ মার্চ ২০২৪
সড়ক ও মহাসড়কে থামছে না চাঁদাবাজি। বিভিন্ন স্পটে যানবাহন থামিয়ে নানা নামে আদায় করা হচ্ছে টাকা। একুশের ক্যামেরায় হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও অস্বীকার করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তবে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, যে কোন ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে সারাদেশে পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দেশে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য সড়কে চলাচল করছে সাড়ে চার লাখেরও বেশি গাড়ী। হাইকোর্ট ও সরকারের কঠোর নির্দেশের পরও সড়ক-মহাসড়কে বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি।
একুশের ক্যামেরায় মিলেছে তার প্রমাণ। সড়কে পণ্যবাহি পরিবহন থামিয়ে চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত পুলিশ।
তবে চাঁদা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি অস্বীকার করেন এই পুলিশ সদস্যরা।
শুধু পুলিশ নয়, সিটি কর্পোরেশনের নামেও চলছে চাঁদাবাজি।
পণ্যবাহি পরিবহন চালকরা বলছেন, বিভিন্ন স্পটে টাকা দিয়েই সড়কে চলাচল করতে হয়। না দিলে হতে হয় হয়রানির শিকার।
আবার মহাসড়কেও চলছে খোলাখুলি চাঁদাবাজি। সেখানেও নানা নামে দিতে হয় টাকা।
বৈধ লাইসেন্স ও গাড়ীর কাগজপত্র থাকার পরও কেন সড়কে টাকা দিতে হবে প্রশ্ন চালকদের। তারা জানান, সবকিছু ঠিক আছে, লাইসেন্স ঠিক আছে কিন্তু কাগজপত্র নিয়ে বলে টাকা দেন। যাবার সময় এক গ্রুপ ধরে আবার ফেরার সময় অন্য গ্রুপ ধরে। না দিলে ভাংচুর করে।
ট্রাক মালিক ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে দ্রব্যমূর্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ট্রাক কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমেদ মজুমদার বলেন, “মফসল থেকে মাল লোড করে ঢাকা পর্যন্ত আনতে যে চাঁদাবাজিটা হয় এটা কিন্তু ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তার মানে সাধারণ ভোক্তাদের উপরই এটা চাপাচ্ছে।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকান বলেন, “দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে চাঁদাবাজমুক্ত গণপরিবহন এবং পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা যারা পরিবহন নেতা আছি আমাদের এবং আমাদের পরিবারের সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে। তাহলে চাঁদাবাজরা ট্রেড ইউনিয়ন করবেনা। কেননা এখানে রুজি নাই তাহলে কেন করবে।”
তবে বাহিনীর কোন সদস্য চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হলে তার দায়ভার ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজ (মিডিয়া এন্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, “যে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ সদস্যরা যেন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে থাকে এবং পেশাদারীত্বের সাথে চাঁদাবাজি বন্ধে যেন দায়িত্ব পালন করে তার স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”
চাঁদাবাজি বন্ধে সাদা পোশকাকে গোয়েন্দারা কাজ করছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
এএইচ