ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

দর্শনার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না রফিক স্মৃতি জাদুঘর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ভাষা-শহীদ রফিকের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধরা ইউনিয়নের পারিল গ্রামে। তাকে সম্মান দেখিয়ে গ্রামের নাম এখন রফিক নগর। তার বাড়িতে নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। এছাড়া আছে স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার। কিন্তু অব্যবস্থাপনা এবং বই স্বল্পতায় তা দর্শনার্থী-পাঠকদের চাহিদা পুরণে ব্যর্থ। একইসঙ্গে রাস্তার দুরাবস্থায় ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।


১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলা ভাষার দাবিতে মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রফিক উদ্দিন। তার লাশ স্বজনদের না দিয়ে পুলিশ আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করে। শহীদ রফিক স্মরণে ২০০৮ সালে তার নিজ গ্রামে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় জাদুঘর ও পাঠাগার।
প্রতিদিন জাদুঘর পরিদর্শন ও বই পড়তে আসেন অনেক দর্শনার্থী আর শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ভাষা শহীদ রফিকের স্মৃতি চিহ্ন, ভাষা আন্দোলনের তেমন কোন নথিপত্র বা স্মারক নেই জাদুঘরে। পাঠাগারে বইয়ের সংগ্রহও খুবই কম।

১৯৯৪ সালে পারিবারিকভাবে শহীদ রফিকের বাড়িতে নির্মিত হয় শহীদ মিনারটি। পরে ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে তা বড় আকারে সংস্কার করা হয়। কিন্তু শহীদ মিনারে যাওয়ার রাস্তাটি সরু হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হয় দর্শনার্থীদের।

প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ দিন বই মেলা হয় রফিক নগরে। কিন্তু নিজস্ব জমি না থাকায় অদূর ভবিষ্যতে তা বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় অনেকেই মনে করেন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক। শহীদ রফিকের স্মৃতি সংরক্ষণে সরকারের কাছে জমিটির স্থায়ী বন্দোবস্তের দাবী এলাকাবাসীর।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি