দাম কমেছে চিনি ও ব্রয়লার মুরগীর
প্রকাশিত : ২১:৪০, ৭ জুলাই ২০১৭
ঈদের আগে থেকে বর্ধমান চিনি ও ব্রয়লার মুরগীর দামে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। চিনির দামে দীর্ঘদিনের অস্বস্তিকর চড়ামূল্য কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আবার ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। শুক্রবার ঢাকার একাধিক বাজার ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এ চিত্র দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দামে থাকা চিনির বর্তমান দাম জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানি হাবিব রহমান জানান, দীর্ঘদিন পর চিনির দাম কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। ঈদের আগে তারা ৭০ থেকে ৭২ টাকায় চিনি বিক্রি করলেও এখন বিক্রি করছেন ৬২ থেকে ৬৩ টাকায়।
হাবিব জানান,“বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজার থেকে বস্তা (৫০ কেজি) ২৯শ টাকায় চিনি সংগ্রহ করি। সে হিসাবে প্রতি কেজির চিনির দাম পড়ে ৫৮ টাকা।” তবে চিনির এই ন্যায্যমূল্য শহরের অন্যান্য স্থানে দেখা যায়নি। এদিন মিরপুরে খুচরা দোকানগুলোতে চিনির কেজি ৬৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
একইভাবে ঈদের আগের সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। এখন সে ব্রয়লারের দাম কমে ১৪০ টাকা থেকে দেড়শ টাকায় নেমেছে।
এদিকে এদিন মিরপুর ২ নম্বরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি আলু ২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দেশি রসুন ১০০ টাকা আর আমদানি করা রসুনের দাম কিছুটা কমে ১২০ থেকে দেড়শ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
তবে একইদিন কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, আলুর পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, অর্থাৎ কেজি ১৪ টাকায়। আর ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা।
এছাড়া বাজারে পটল ২০ টাকা, ঢেঁড়শ ২০ টাকা, কাকরোল ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কচুমুখী ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকায়। ডিমের বর্তমান এই মূল্য বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
মাছের বাজারে মাঝারি আকারের (৬০০ গ্রাম) ইলিশের জোড়া ৭০০ টাকা, রুই মাছের কেজি ২৪০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০, রুপচাঁদা ৪০০ এবং পাবদা ৩৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন