দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে জারবেরা
প্রকাশিত : ১১:০৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের ছোট ঘিঘাটির মাঠে জনপ্রিয় হচ্ছে বিদেশি ফুল জারবেরা। এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া বিদেশি জাতের এ ফুল লাল, সাদা, হলুদ ও গোলাপিসহ ৮টি বাহারি রঙের হয়ে থাকে। ক্ষেত থেকে তোলার পরও ১০ থেকে ১৫ দিন তাজা থাকায় বাজারে এ ফুলের চাহিদা বেশ।
ত্রিলোচনপুর গ্রামের ফুলচাষী ও ব্যবসায়ী টিপু সুলতান এবং নূর মোহাম্মদ যৌথভাবে ২০১৭ সালের জুনে ৩ বিঘা জমিতে জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন। বীজ এবং ফুল ক্ষেতের উপর ছাউনি দিতে বিশেষ ধরনের পলিথিন আনা হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। রোপণের তিন মাস পর থেকে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। একটি গাছ একাধারে দুই থেকে তিন বছর ফুল দেয়।
কৃষিবিদ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জারবেরা ফুল চাষের জন্য এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বছরের যে কোনো সময় চাষ করা যায়। শীত মৌসুমে উৎপাদন বেশি হয়। এছাড়া দেশের বাজারে এ ফুলের দাম ও চাহিদা বেশি। তবে এ ফুল লাভজনক হলেও খরচ বেশি হওয়ায় চাষ করতে পারছেন না সাধারণ কৃষকরা।
ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর ধরে এই ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে শত শত একর জমিতে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ চাষ হচ্ছে। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয় জারবেরা।
ফুলচাষী টিপু সুলতান জানান, ২০১৭ সালের জুন মাসে ভারত থেকে বীজ সংগ্রহ করে ৯৬ শতক জমিতে রোপণ করার তিন মাস পর গাছে ফুল আসতে শুরু করে। বীজ রোপণ, ক্ষেতের চারপাশে বাঁশের বেড়া স্থাপন, উপরে ছাউনি, সার, ওষুধ ও শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত ৩৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফুল পরিচর্যা করার জন্য চারজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। এ ফুল ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়। গত ছয় মাসে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ফুল বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান টিপু।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জার্মান পরিবেশবিদ ডাক্তার ট্রগোট জারবেরের নামানুসারে ফুলটির নামকরণ করা হয়। জারবেরা চাষের জন্য এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বছরের যে কোনো সময় চাষ করা গেলেও শীত মৌসুমে উৎপাদন বেশি হয়। দেশের বাজারে এই ফুলের দাম ও চাহিদা বেশ। কিন্তু চাষের খরচও অনেক।
একে// এআর