ঢাকা, সোমবার   ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দীর্ঘ ১৭ বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিভিন্ন মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নানাভাবে হয়নারি করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। জেলেও রেখেছিলেন খালেদা জিয়াকে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বিগত সরকারের আমলে বারবার অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি ষেখ হাসিনা সরকার। বরং উল্টো এ নিয়ে েহাসি তামাশা করা হয়েছে। খোদ শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে টিপ্পনি কাটেন। 

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার ভারতে পলায়নের পর মুক্তি পায় খালেদা জিয়া। তারপর নানা আইনি ঝামেলা মিটিয়ে অবশেষে তিনি লন্ডনে যান। এতে দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে মিলন ঘটে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়ার।  

লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের অধীর আগ্রহ কবে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া, কবে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। তবে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর তাদের দেশে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে তার বড় ছেলের সঙ্গে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।

এদিকে সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া অনেক ভালো আছেন। তিনি বাসায় ফিরে খুব হাসিখুশি আছেন। আমার মনে হয় তিনি ৬০ পার্সেন্ট সুস্থ হয়ে গেছেন।

খালেদা জিয়ার এই উপদেষ্টা বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুটি টিম মিলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতালের চেয়ে বাসায় বেটার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে। রোববারও দেখলাম ডা. জোবাইদা রহমান বসে খাওয়াচ্ছেন। পাশে তারেক রহমান বসা।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তার পুত্রবধূদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বাসায় যাওয়ার মানে হচ্ছে, তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। উনি অচিরেই দেশে যাবেন। দেশের জনগণ উনাকে দেখতে চায়।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বর্তমানে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় রয়েছেন।

অন্যদিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে স্বাভাবিক রাজনীতি ও ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকবে বিএনপি। আসছে মার্চে শুরু হতে যাওয়া রমজানে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে বিএনপি।

এরই মধ্যে চারটি ইফতার মাহফিলের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রসহ তৃণমূলেও ইফতার পার্টি বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

এছাড়া এলাকাভিত্তিক সামাজিক অনুষ্ঠানসহ ‘উঠান বৈঠকের’ মতো নানা কর্মসূচি থাকবে। এর মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে জনমত তৈরির পাশাপাশি ভোটের হাওয়া দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়াই টার্গেট। তবে কোনো অপশক্তি যাতে ষড়যন্ত্র কিংবা অপতৎপরতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

সারা দেশেই তৃণমূল পর্যায়েও ইফতার মাহফিল ঘিরে ভোটের রাজনীতি চাঙ্গা থাকবে বলে দলটির নেতাকর্মীরা জানান।

সূচি অনুযায়ী প্রথম রোজায় এতিম ও আলেমদের সম্মানে, ৬ মার্চ কূটনীতিক এবং ৯ মার্চ রাজনীতিবিদদের সম্মানে পৃথকভাবে ইফতার মাহফিল হবে। পাশাপাশি আরও একটি ইফতার হবে কেন্দ্রীয়ভাবে (দিন চূড়ান্ত হয়নি)।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি