দুই বান্ধবী নিয়ে ঘুরতে এসে জাবিতে আটক প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য
প্রকাশিত : ১৪:২৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুই বান্ধবীসহ ঘুরতে এসে আটক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত অপরাধচক্র ‘প্রলয় গ্যাং’র অন্যতম সদস্য তবারক মিয়া। এসময় পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বটতলায় মাঝামাঝি স্থানে একটি চায়ের স্টলে বসে চা পান করছিলেন তবারক। এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা এসে তাকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন৷ জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় নিশ্চিত হলে তিনি জাবির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫১ ব্যাচের জিতাদিত্য বড়ুয়ার আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বান্ধবীসহ ঘুরতে এসেছেন বলে জানান।
পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশে খবর দিলে রাত ১২টার কিছু আগে এসে তাকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তবে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তবারক জানায়, তার নামে যে মামলা ছিল সেখান থেকে অক্টোবর মাসে আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার নামে কোন অভিযোগ নাই। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমানের স্বাক্ষর করা হলফনামাও দেখান তিনি।
তার সাথে ঘুরতে আসা দুই নারী জানান, মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে তবারক মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকেও ২ বছর বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই আমরা তাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানে আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের বন্ধু আছে। তাদের সাথে দেখা করতে এসেছি।
এঘটনায় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ও মার্জিউর জানান, আমরা বটতলায় বসেছিলাম। এসময় তবারক আসে ফ্রেন্ডদের নিয়ে৷ তাকে প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য বলে আমাদের সন্দেহ হলে আমাদের কয়েকজন ও উপস্থিত সাংবাদিকরা তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। অনলাইন থেকে নিউজ দেখে তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষার্থীদের মারধরে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। তবে সে দাবি করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তখন প্রক্টরিয়াল টিম এসে পুলিশে কল করেন, জানান ওই শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ছাত্ররা আমাদের খবর দিয়েছে যে ঢাবির প্রলয় গ্যাংয়ের এক সদস্যকে এখান থেকে ধরা হয়েছে। পরে ঢাবির প্রক্টরের কথা বলে মেয়েদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তবারককে পুলিশে দেয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে দায়িত্বরত আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা তবারককে থানা হেফাজতে নিয়েছি। তার সাথে থাকা দুই নারীকে পরিচয় লিখে রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবারকের নামে কোন অভিযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখবো। ঘটনাস্থলের এক দোকানের পাশ থেকে পলিথিনে মোড়ানো কিছু গাঁজা উদ্ধার করেছি।
এএইচ
আরও পড়ুন