দুর্ঘটনা রোধে সংশোধনী আনা হচ্ছে নৌ-আইনে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৫, ২২ মে ২০২২
গত ২০ বছরে এক ডজনেরও বেশি নৌদুর্ঘটনায় প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিগগিরই আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। আর সমন্বিত অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নৌ-পুলিশের।
অনুমোদিত নকশা না মেনে নৌযান তৈরি, অদক্ষদের দিয়ে নৌযান চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনসহ নানা কারণেই হচ্ছে নৌদুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু যেনো একটি পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া। আহত অনেকেই হয়ত জীবনের তরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। বেশিরভাগ তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায় সমস্যা নৌযানের ফিটনেসে।
নৌদুর্ঘটনা রোধে ২০০৪ সালে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর নৌযান আইনে সংশোধন করে। ওই আইনে অনুমোদনহীন নৌযান দুর্ঘটনায় পড়লে ফৌজদারি আইনে মামলা ও বিচার হবে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মনজুরুল কবীর বলেন, “যিনি জাহাজটি চালাবেন তার যদি লাইসেন্স না থাকে তিনি আসলে নৌ-আইন নয়, ফৌজদারী অপরাধ করেছেন।”
তবে, এবার আগের আইনের সংশোধনী আনতে যাচ্ছে সরকার। সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি, ক্ষতিপূরণ বাড়ানোসহ আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে।
মো. মনজুরুল কবীর বলেন, “প্রণয়নের কাজটি অনেক দূর এগিয়েছে। পরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আমরাও তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি, কাজটি দ্রুত শেষ হবে।”
নৌ পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনা রোধে আরও তৎপর হচ্ছে তারা।
নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “শাস্তির বিধানগুলো এমন হওয়া দরকার যেটা দৃষ্টান্তমূলক হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কেউ এধরনের দুর্ঘটনা ঘটায়, মানুষ হত্যার মত ঘটনায় তার দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে সেক্ষেত্রে তার শাস্তির পরিমাণ বেশি দেওয়া হয় তাহলে অন্যরা এধরনের অপরাধ থেকে দূরে থাকবে।”
অধিদপ্তরের পাশাপাশি নৌ পুলিশও মনে করে, মালিকরা সচেতন হলেই নৌ দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “ইচ্ছাকৃত অমিশনের জন্য যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় বা কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, যেটি সে ইচ্ছা করলে বন্ধ রাখতে পারত। সেটা যদি সে না করে তাহলে এটা বড় অমিশন। এধরনের অমিশনগুলো ফৌজদারী আইনেই হওয়া উচিত।”
এএইচ/