ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

দুর্বল হয়ে ফণি এখন নিম্নচাপ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ৪ মে ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ফণি দুর্বল হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে স্থলভাগের মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গাছ ও ঘরচাপায় পটুয়াখালী, বরগুনা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ভোলাসহ সারা দেশে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ। সাতক্ষীরা-যশোর-খুলনায় ভারি বৃষ্টিসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বইছে দমকা হাওয়া। উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে অনেকে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ক্রমেই আরো দুর্বল হচ্ছে ঘুর্ণিঝড় ফনি।

ভারতে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ দূর্বল হয়ে শনিবার সকাল ৬টার দিকে খুলনা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর থেকে নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ফণীর তান্ডবে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়। বসত ঘরে চাপা পড়ে এক শিশু ও গাছ চাপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫জন।

ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদীতে ঘর চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অসংখ্য মানুষ। ঘরচাপায় বরগুনায় ২, লক্ষ্মীপুরে ১ এবং পটুয়াখালীতে গাছ চাপায় মারা গেছেন আরো একজন।

রাজশাহী, যশোর ও দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে থেমে থেমে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে।

পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি আশপাশের জেলার অনেক মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবার ও জরুরি ওষুধ সরবরাহ করেছে প্রশাসন।

মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে এখনো সতর্কতা বহাল রয়েছে। নিরাপদে অবস্থান করছে জাহাজসসহ সব ধরণের নৌযান।

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি