দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্যসহ নিহত ২
প্রকাশিত : ১৩:০৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৭
দুর্বৃত্তের ছুড়া গুলিতে পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নিহত হয়েছে। ওই ইউনিয়নের দূর্গাপুর খানকাপাক বাজারে পৃথক গুলির ঘটনায় আর একজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইউপি সদস্য সবুজ মন্ডল (৩৮) ঢালারচর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত লোকমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।
পাবনার সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, পারিবাবিক কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্গম দূর্গাপুর খানকাপাক বাজারের লাল মিয়ার দোকানে বসে কথা বলছিলেন সবুজ। এ সময় কয়েক জন এসে তাকে টেনে-হিঁচড়ে দোকান থেকে বের করে গুলি করে হত্যা করে। যাওয়ার সময় তারা সর্বহারা দলের স্লোগান দিতে থাকে। ওই সময় আতঙ্কে বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে মানুষ নিরাপদে ছুটতে থাকে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নিহত সবুজ একই এলাকার অপর একটি চরমপন্থী সংগঠন জুলহাস বাহিনীর আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, অপর এক ঘটনায় গত শুক্রবার পাবনা শহরের ছাতিয়ানী মহল্লায় এক যুবক গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহত যুবক বাবু খন্দকার অবৈধ পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি পাবনা পৌর এলাকার ছাতিয়ানী মহল্লার ফজলে রাব্বি সড়ক এলাকার মনি খন্দকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বাবু খন্দকার নিজ বাড়িতে সবার অগোচরে নিজের কাছে থাকা অবৈধ পিস্তল দিয়ে বুকের ডান পাশে গুলি করেন। এ সময় তার মা বাহিরে থেকে বাড়িতে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করেছে। তবে বিষয়টি রহস্যজনক বলে অনেকে মনে করছেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনার নিহত বাবু খন্দকারের মা বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন। নিহত বাবু খন্দকারের বিরুদ্ধে পাবনা থানায় দুটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি, তবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন