দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম

দিনদিন বায়ুদূষণ বাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। প্রতি বছর শীতকাল এলেই  আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে এই অঞ্চলের বায়ু। গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক বায়ুদূষণের হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়া। দূষণ থেকে কোনোভাবেই বেরিয়ে আসতে পারছে না এই অঞ্চলের দেশগুলো। বায়ু দূষণে থেমে নেই বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও। প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। আজ সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোরের নাম। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান ভারতের দিল্লির। আর বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৪ নগরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। 

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সুইডেনভিত্তিক সংস্থা আইকিউএয়ারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‍বিশ্বের ১আজ সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোরের নাম। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান ভারতের দিল্লির। আর বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৪ নগরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। ১২৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইকিউএয়ার।

আইকিউএয়ার বাতাসের মান নিয়ে লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক প্রকাশ করে। যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে।

বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের স্কোর ৪৭০। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ৩৪৮ স্কোর নিয়ে আছে ভারতের দিল্লি। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মানও নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া ১৮৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা। এখানকার বাতাসের মানও নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

এমবি//