দেশে ধর্ষণের তুফান সরকারের ব্যর্থতায় : মওদুদ

সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে এখন নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের ‘তুফান’ বইছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০ দলের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরপেক্ষতায় সহায়ক সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সভাপতিত্ব করেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য অলিউর রহমানের পরিচালনায় এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে এখন নারী ও শিশু ধর্ষণ তুফান গতিতে চলছে। বগুড়ার তুফান সরকার বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডেরই প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তির প্রলোভনে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের সব ঘটনাতেই ‘আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা’ জড়িত মন্তব্য করে মওদুদ আহমদ  বলেন, আমরা বলতে চাই, তুফান সরকার ও আমাদের বর্তমান সরকার একই তো। এই সরকারের আমলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। যতদিন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এই নারী ও শিশুদের ধর্ষণ চলতেই থাকবে।
বগুড়ার ওই ঘটনাকে ‘একেবারে অবিশ্বাস্য’ হিসেবে বর্ণনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, কী অসম্ভব একটা বর্বরতা! কী অসম্ভব একটা হিংস্রতা! এটা কেন হচ্ছে? কারণ এই সরকারের কোনো জবাবদিহি নাই। তারা (সরকার) মানুষের কাছে জবাবদিহি করার কোনো প্রয়োজন বোধ করে না।
মহিলা পরিষদ ও মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ এর দেওয়া নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিসংখ্যান  তুলে ধরে মওদুদ বলেন, রোজ গড়ে পাঁচজন নারী ও শিশু ধর্ষিত হচ্ছে। তাহলে চিন্তা করে দেখেন, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা কোথায় চলে গেছে! পত্রিকায় দেখলাম একজন বাস ড্রাইভার ও হেলপার একজন যাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। তার মানে দেশে আইনশৃংখলা বলতে কিছু নাই।
সরকারের পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন এই বিএনপি নেতা।