দেশে ফিরেই সমন্বয়কদের বুকে জড়িয়ে নেন আমিরাতে ক্ষমাপ্রাপ্তরা
প্রকাশিত : ০৮:২৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ০৮:৩৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পেয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় ১৪ জন দেশে ফিরেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
বিমান থেকে নেমেই তারা দুই সমন্বয়ককে বুকে জড়িয়ে নেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় বিমানবন্দরে আবেগঘন এক মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
আগতরা হচ্ছেন সুহেল আহমেদ ও মো. জহিরুল ইসলাম নাহিদ। শনিবার রাতে এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইটে তারা শারজাহ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। ঢাকায় দুইজন ছাড়াও চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন আরও ১২ জন।
শনিবার রাত পর্যন্ত আমিরাতে ক্ষমা পাওয়াদের মধ্যে মোট ১৪ জন দেশে ফিরেছেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান কর্তৃক ক্ষমা মঞ্জুর করা বাংলাদেশি অভিবাসীর প্রথম দলে ১৪ জন শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ও রাত ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ জনের শাস্তি মওকুফের বিষয়টি।
প্রধান উপদেষ্টা আমিরাত প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন। তাদের ক্ষমা করানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এএইচ
আরও পড়ুন