দেশে বিশেষ বিশেষ জাতের মাছ চাষ বাড়ছে
প্রকাশিত : ১৩:০৫, ৬ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৩:০৫, ৬ নভেম্বর ২০১৬
দেশে আমিষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ঠিক রাখতে, বিশেষ বিশেষ জাতের মাছ চাষ বাড়ছে। এই প্রবণতায়, অব্যহত ভাবেই, কমছে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা। যার, কারণে, এই ব্যবস্থা কে দেশীয় জাতের মাছের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য হুমকি বলেই মনে করছেন জলবায়ূ পরিবর্তন, জল-জীব বৈচিত্র্য ও মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বে মাছ চাষ ও আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান এখন চতুর্থ। দেশে বর্তমানে, মোট মাছ উৎপাদিত হয়, ৩৬ লাখ টনেরও বেশি। যার মধ্যে, চাষ থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২০ লাখ টন। আশির দশক থেকে কৃষি- জমিতে, বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষে ঝুকে কৃষক। চাষ হয়, রুই, কামলা, মৃগেল, সরপুটি’র পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পায়, পাঙ্গাস, কাতলা, তেলাপিয়া মাছ। আরো যুক্তহয়, উন্নত জাতের কই, শিং, মাগুর, শোল মাছ।
দু’পয়সার মুখ দেখে কৃষক। দেশে ঘটে যায়, মাছ চাষের ‘রুপালী বিপ্লব’। এখনও সেই ধারা চল্লেও, সেই রমরমা অবস্থা নেই মাছ চাষের। কারণ, খাবার সহ চাষের উপকরণের উচ্চ মূল্য। কমেছে নিট লাভের পরিমানও।
আমিষের চাহিদার পূরণ হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু, জমিতে চাষাবাদ ধরণের পরিবর্তন, সামগ্রিকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি দাড় করিয়েছে পরিবেশকে। মাছের খাবার ও রাসায়নিকে প্রভাব পড়ছে চাষের জমিতে। কমছে, জমির উৎপাদন সক্ষমতা; স্বীকার করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই সামগ্রিক কর্মকান্ডে; পাল্লা দিয়ে কমছে, খাল-বিল আর কৃষিজমিতে পাওয়া যেতো, এমন ২ শ ৯০ প্রজাতির মিঠাপানির দেশীয় জাতের মাছ।
তাই এ নিয়ে আরো গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে চাইছেন সংাশ্লষ্টরা।
আরও পড়ুন