দেশ ঝুঁকছে ই-কৃষিতে
প্রকাশিত : ১২:০৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:১৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ ঝুঁকছে এখন ই-কৃষিতে। বাড়বে লাভ, ভাগ্য খুলবে কৃষকের। ই-কমার্সের অন্তরায় দূর করার তাগিদ তাই সংশ্লিষ্টদের।
এতোদিন মাঠের কৃষকের হাতেই ছিল দেশের স্বপ্ন বোনা। সময় বদলানোর সঙ্গে বদলেছে কৃষির ধরণ। পাল্টেছে পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়া। আকাশ ছুঁয়েছে তাই মাঠের কৃষকের স্বপ্ন।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে শিল্প বিপ্লবের পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতিতেও ঘটতে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।
কৃষকরা জানান, আমরা ই-কমার্সে আগ্রহী হতে চাই। শুনেছি অনলাইনে বেচা-কেনা হয়, আমরা চেষ্টা করবো অনলাইনে বেচাকেনা করতে।
এরইমধ্যে অনেকটাই সমৃদ্ধ হয়েছে কৃষি গবেষণা। আগে খেতের কৃষক মাঠে পেতেন না কর্মকর্তাদের। তাৎক্ষণিক পরামর্শ পেতে তাই খামারবাড়িতে স্থাপন করা হয়েছে কল সেন্টার। ১৬১২৩ নম্বরে ফোন করে কৃষক নিচ্ছেন পরামর্শ।
ঘটনার উল্টোও আছে। বহু এলাকাতে এখনও অনিয়মিত কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষকরা জানান, ফসলে পোকা ধরলে কি ধরনের বিষ দিতে হবে এই পরামর্শ কৃষি কর্মকর্তারা দিতে পারবেন। কিন্তু আমরা তো সেই পরামর্শ পাই না। কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করে না।
অধিদফতর বলছে, জনবল কম।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান তথ্য অফিসার ড. সুরজিত সাহা রায় বলেন, প্রচুর কল আসে, অনেকেই জানতে চায়। ২শ’-আড়াইশ’র বেশি আমরা সেবা দিতে পারছি না। এটার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ঊর্ধ্বতন দফতরে আমরা লেখালেখি করছি।
পণ্য বিক্রি করতে নামি ব্রান্ডের সঙ্গে কৃষকের সম্পর্ক গড়ে দিতে চায় অধিদফতর।
কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, কৃষকদের যদি ই-কমার্স কৃষি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া যায় তাহলে কোন রকমের জটিলতা অদূর ভবিষ্যতে হয়তো ঘটবে না।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. আসিফ রেজা অনিক বলেন, যেখানে আমি ক্রেতা হিসেবে পণ্যের গুণাগুণের নিশ্চয়তা পাবো এবং বিক্রেতা তার পণ্যের দামটা বেশি পাবে সেই গ্যারান্টিটা থাকবে।
কৃষি যেনো হয় কৃষকবান্ধব। অর্থনীতিতে যেনো কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখতে পারে, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন