দোহারে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণার অভিযোগ, ভাঙচুর
প্রকাশিত : ১১:৩৭, ৩ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকার দোহারে জীবিত মানুষকে মৃত বলে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুর করেছে স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে এমন পরিস্থিতিতে পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধায় উপজেলার পৌরসভা খাড়াকান্দা এলাকার যুবক মোঃ আনোয়ার হোসেন বাড়ির পাশে একটি ডোবায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার এক পর্যায়ে উপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হন আনোয়ার। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আনোয়ারের পরিবারের দাবি, বাড়িতে নিয়ে আসার পর সে হাত-পা ও চোখ নাড়াচাড়া করে। এরপর আনোয়ারকে আবারো নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সাথে এ বিষয়ে বাকবিতন্ডা হয় রোগীর স্বজনদের।
একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌছে অন্তত দুইঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মো. লাইলাতুল আসিফ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধরা হাসপাতাল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে দোহার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মামুন খান ও ঘটনাস্থলে আসেন।
নিহত আনোয়ারের লাশ রাতেই বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। আনোয়ারের বাবা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দোহার পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, হাসপাতালে আনার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এমনকি একটি অ্যাম্বুলেন্স দুই ঘন্টা পার হলেও ব্যবস্থা করে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় জরুরী বিভাগের ডাক্তার সোহেল রানা, মারধরের শিকার হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা করেনি নিহতের পরিবার। তবে একটি অপমৃ্ত্যু মামলা হতে পারে।
আরও পড়ুন