দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে
প্রকাশিত : ১৫:১৮, ৭ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৫:১৮, ৭ আগস্ট ২০১৬
পদ্মার তীব্র স্রোতে ঘাট ভেঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল। সকাল থেকেই ঘাট মেরামতের চেষ্টা চলছে। দু’পাড়ে শত শত যানবাহন আটকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। এদিকে, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে বিভিন্নস্থানে প্রবল হয়েছে নদী ভাঙণ।
উজানে পানি কমে বেড়েছে পদ্মায়। এ অবস্থায় তীব্র স্রোতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ৪টি ঘাটের ৩টি গত ক’দিন ধরেই ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে রোববার ৩ নম্বর ঘাটটিও ভেঙ্গে যাওয়ায় সকাল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পদ্মার দুই পাড়ে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত পণ্যবাহী ট্রাক।
কর্তৃপক্ষ বলছে, যত দ্রুত সম্ভব ঘাট চালু করার চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে উত্তরের বন্যাকবলিত জেলাগুলোর বেশিরভাগ এলাকার পানি নেমেছে। কুড়িগ্রামে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ক্ষেতের ফসল হারিয়ে দিশেহারা কৃষক। আর কাজ না থাকায় কষ্টে আছেন খেটেখাওয়া মানুষেরা।
সিরাজগঞ্জে বন্যার পানি কমার পর, দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙ্গন। বিলীন হয়ে যাচ্ছে যমুনা পাড়ের বসতভিটা।
জেলার এনায়েতপুরের চরাঞ্চলে একুশে টেলিভিশন ফোরামের উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
মাদারীপুরের চারাঞ্চলে পদ্মার পানি এখনো বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতে ভাঙছে পাড়। নদীগর্ভে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট, বাড়ি-ঘর।
এদিকে, ফরিদপুরের অনেক এলাকায় এখনো পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। পানির চাপে গেল ২৪ ঘন্টায় ধসে গেছে বেশ কিছু রাস্তা। উচু বাঁধে আশ্রয় নেয়া দুর্গতদের দিন কাটছে নানা সংকটে।
পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বন্য ও ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষেরা।
আরও পড়ুন