ধর্মীয় সম্প্রীতি কেউ বিনষ্ট করতে পারবে না: পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশিত : ১১:২৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১৬:৩৬, ২ মার্চ ২০২৩
সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশের সকল মানুষের ধর্মের যে সম্প্রীতি রয়েছে তা কেউ কোন দিন নস্যাৎ করতে পারবে না।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র জেলাশাখা আয়োজিত ‘বাংলা ও বাঙালির শাশ্বত সম্প্রীতি’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র মানিকগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক অধ্যাপক মো. আবদুর রউফ এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সম্মানিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস সালাম এ্যাডভোকেট, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, প্রফেসর বদর উদ্দিন আহমেদ ও প্রফেসর উর্মিলা রায়।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের কূলে কূলে যে জনপদের মানুষ রয়েছে, এটি দানবের দেশ নয়, মানুষের দেশ। এ জনপদের পলিমাটিতে হাজার হাজার বছরের সম্প্রীতির উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে সম্প্রীতির পূর্নভূমি থেকে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারো করো বক্তব্যে সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকা থাকতে পারে। তবে হতাশ হবার কিছু নেই। বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ থেকে সব কিছু মোকাবেলা করেছে। আমাদেরকেও ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল শঙ্কা রুখতে হবে।’
সম্প্রীতি রক্ষার যুদ্ধে নতুন প্রজন্মকে বিজয়ী হবার তাগিদ দিয়ে সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র যুগ্ম-আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবার দু:খে ব্যথিত হতে পেরে ছিলেন বলেই সকলকে নিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি গড়ে তুলে ছিলেন। এরফলে তিনি একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সময়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার ছিলো সাম্প্রদায়িক। তখন জনগন ছিলো অসাম্প্রদায়িক। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হয়। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সরকার ধর্মনিরপেক্ষ, কিন্তু জনগনের মধ্যে সম্প্রাদায়িকতা দেখা যাচ্ছে।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা: মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, ‘বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার একযুগের বেশি সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এনেছেন। কোভিডকে যেভাবে মোকাবেলা করেছেন সেটা সারা বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। এরকম এটা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতি ধরে রেখেছেন। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সংস্কৃতিক উন্নয়নও করছে তাঁর সরকার।’
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা ও কলামিষ্ট তাপস হালদার, মো. হেলাল উদ্দীন, ছাত্রনেতা ধীমান রায়, রাজীব কর, সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান ও দীপক। অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের সাংস্কৃতিক সংগঠন সপ্ত সূর সঙ্গীত পরিবেশন করে।
এমএম/
আরও পড়ুন