ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ফতোয়ার উদ্যোগ থমকে গেছে
প্রকাশিত : ১২:৫৩, ৯ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১২:৫৩, ৯ এপ্রিল ২০১৬
ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ফতোয়ার উদ্যোগ থমকে গেছে। ফেব্র“য়ারির শেষ সপ্তাহ নাগাদ দেশের এক লাখ আলেমের এই ফতোয়া জারির কথা ছিল। কিন্তু, জঙ্গিবাদ সমর্থক আলেমদের তৎপরতায় অনেক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ফতোয়ায় সই করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এর উদ্যোক্তারা। তবে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন জরুরি বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
জিহাদের নামে জ্বালাও-পোড়াও, হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করে না ইসলাম। তারপরও এক শ্রেণীর আলেম-ওলামা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে জিহাদের সাথে মিলিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। শুধু মাদ্রাসা পড়–য়ারাই নয়, বিভ্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষও।
১৯৯৯ সালের ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর শ্যামলীতে কবি শামসুর রাহমানের উপর জঙ্গি হামলার মধ্য দিয়ে দেশে জিহাদের নামে হামলার সূচনা হয়।
এরপর ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে প্রায় ৫শ’ স্থানে একযোগে বোমা হামলা হয়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেশে প্রায় ২শ’ ছোটবড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এ’সব হামলায় প্রাণ হারায় দেড় শতাধিক ব্যক্তি।
এমন বাস্তবতায় গত বছরের শেষ দিকে আলেম সমাজ ‘বিশ্ব পরিস্থিতিতে ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ফতোয়া’ শিরোনামে ফতোয়া জারির উদ্যোগ নেয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি ফতোয়ার অনুলিপি জাতিসংঘ ও ওআইসি’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এক লাখ আলেমের সই নেয়ার পর ফেব্র“য়ারির শেষ সপ্তাহ নাগাদ এই ফতোয়া জারির কথা ছিল। (গ্রাফিক্স):
কিন্তু জঙ্গিবাদ, জিহাদ আর ইসলামকে যেসব আলেম এক করে দেখেন তাদের অপপ্রচারের শিকার হয় ফতোয়ার এই উদ্যোগ। মসজিদ-মাদ্রাসা কেন্দ্রিক সভা-সমাবেশ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে অপপ্রচার। এ’কারণে ফতোয়ায় সই করতে ভয় পাচ্ছেন অনেক আলেম।
বাধা আসলেও জঙ্গিবাদ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে ফতোয়া জারির উদ্যোগ এগিয়ে নেয়া উচিত বলে মনে করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
আরও পড়ুন