ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ধর্ষণের অভিযোগে রোনালদোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪৪, ৪ অক্টোবর ২০১৮

পতুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। লাস ভেগাসের পুলিশ নতুন করে এই তদন্ত শুরু করে।

রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী তরুণীর নাম ক্যাথরিন মায়োরগা। তার অভিযোগ, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন পর্তুগিজ ফুটবল তারকা।

এই খবর প্রথম বেরিয়েছিল জার্মানির বিখ্যাত পত্রিকা ডের স্পিগেলে। ৩৩ বছরের রোনালদো অবশ্য এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করে ইন্সটাগ্রামে মন্তব্য করেন ‘‘সম্পূর্ণ বাজে গল্প।’

তাঁর প্রতিনিধিরা এমনকি জার্মান পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ডের স্পিগেলের দাবি, অভিযোগকারী মার্কিন তরুণী ঘটনার পরেই পুলিশের কাছে নালিশ করেন। শোনা যায় ২০১০ সালে তিনি আদালতের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে রফা করে নেন। কথা দেন, বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে আর কখনও প্রকাশ্যে মুখ খুলবেন না।

এই প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তিনি রোনালদো কাছ থেকে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৬২৫ টাকাও নেন বলে অভিযোগ।

অভিযোগকারী তরুণী জার্মান পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ভয় এবং পরিবারের নিরাপত্তার খাতিরে তিনি মুখ বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর এও মনে হয়েছিল যে রোনাল্ডোর মতো মহাতারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি কখনও সুবিচার পাবেন না। যদিও সেই ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাঁকে তাড়া করে। আর এতদিন পরে তাঁর মনে হচ্ছে, রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো মনের জোর তিনি অর্জন করেছেন।

কিছুদিন আগেও এই নারী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সম্প্রতি তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। ২০০৯ সালে রোনালদো সঙ্গে আলাপ হওয়ার সময় অবশ্য ক্যাথরিন একজন মডেল ছিলেন।

ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার ঠিক আগে লাস ভেগাসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রোনালদো। সে সময় একটি নাইটক্লাবে ক্যাথরিন চাকরি করতেন। বারের সামনে দাঁড়িয়ে অতিথিদের প্রলুব্ধ করাই নাকি তাঁর কাজ ছিল। তরুণীর দাবি অনুযায়ী, রোনালদো সেখানে গিয়েছিলেন এবং সে সময়ই নাকি এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল।

সূত্র : আনন্দবাজার।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি