ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুদের নিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের নিরব পথচলা
প্রকাশিত : ২৩:৩৮, ৬ জুলাই ২০১৮
সহিংসতার প্রায় ১১ মাস পরও টিকে থাকার যুদ্ধ করছে মিয়ানমারের রাখাইনে ধর্ষণের শিকার নারীরা। ভালোবাসা না থাকলেও অনাকাঙ্খিত শিশুকে নিয়েই পথ চলতে হচ্ছে রোহিঙ্গা মায়েদের।
পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়ে নতুন করে আবারও পরিচয় সংকটে কেউ কেউ। অনেকে আবার লজ্জা আর ভয়ে লুকিয়ে বিসর্জন দিয়েছেন সন্তানকে।
কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ধর্ষিতা নারীদের নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সেইভ দ্যা চিলড্রেন।
ছোট্ট শিশুটির জন্ম, বাবা-মায়ের ভালোবাসা ছাড়া। পৃথিবীতে তার আগমন যেনো অবাঞ্চিত। গর্ভধারনী মা শিশুটিকে লালন-পালন করলেও মমতা-ভালোবাসার জায়গায় কোথায় যেন একটু ঘাটতি।
মা নিজেই তার কারণ বললেন- গেল আগস্টে রাখাইনে সেনাবাহিনী আর উগ্র বৌদ্ধদের নৃসংশতার শিকার হয়েছিলেন। ঘৃণা আর কষ্টকে ধারণ করে পৃথিবীতে আসে তার সন্তান।
নিজভূমিতে ধর্ষিতা নারীরা স্বামীর কাছে পাননি স্ত্রীর স্বীকৃতি, পরিচয়হীন তার সন্তানরা।
ভিটা-মাটি সব কিছু হারিয়ে, সহিংসতার ক্ষতচিহ্ন নিয়ে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া এরকম নারীর সংখ্যা ঠিক কতো তা এখনও জানা যায়নি। সেইভ দ্যা চিলড্রেন বলছে, রাখাইনে সহিংসতার ১০ মাসের মাথায় অনেক মায়ের কোলেই এসেছে অনাকাঙ্খিত শিশু। তাদের বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে তারা।
সংস্থাটি জানায়, সহিংসতায় গর্ভবর্তী হওয়া অনেক নারীই লজ্জা আর ভয়ে লুকিয়েছেন অনেক কিছু। এমনকি কেউ কেউ সস্তা ওষুধে নিজের সন্তানও বিসর্জন দিয়েছেন।
নির্যাতিত এসব রোহিঙ্গা নারীরা আদৌ নিজভূমে ফিরতে পারবে কিনা তা যেমন নিশ্চিত নয়, ঠিক তেমনি বাবা-মায়ের মমতা ছাড়া এসব শিশুদের ভষ্যিতও অনিশ্চিত।
ভিডিও:
এসি
আরও পড়ুন