ধানমন্ডিতে ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক অবস্থান
প্রকাশিত : ০৯:১২, ১৫ আগস্ট ২০২৪ | আপডেট: ১৫:৫৬, ১৫ আগস্ট ২০২৪
শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী 'রেজিস্টান্স উইক' কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সারা দেশে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
‘রেজিট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। বৃহস্পতিবার (আগস্ট ১৫) ভোর থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, রাফা প্লাজাসহ আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা অবস্থান নেয়।
এর আগে বুধবার (১৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এক বার্তায় এ ঘোষণা দেন।
এতে সারা দেশের সকল ছাত্র-জনতাকে এ কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় জমায়েতের স্থান হিসেবে শাহবাগে অবস্থান নেবে সমন্বয়কসহ আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, ১৫ আগস্ট শোক দিবসের নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার শোক দিবসের নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে। সেটি প্রতিহত করতে আমরা মাঠে থাকবো।’
যদি পাল্টা গণঅভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হলে, কেউ গায়েবানা জানাজা পড়ার লোকও খুঁজে পাবে না হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই সমন্বয়ক। তিনি বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না যায়, ততদিন রাজপথে থাকবো আমরা।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে রেজিস্ট্যান্স উইকের কর্মসূচি রোডমার্চের অংশ হিসেবে বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি রাপা প্লাজা অভিমুখে পদযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্বালন ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বিকাল পৌনে ৬টার দিকে শাহবাগ থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ পদযাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শপথ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি প্লাবন তারিক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু সায়েম, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক শাফী মোহাম্মদ, ফাদার তপন ডি রোজারিও প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘একতার বাংলাদেশ’-এর মুখপাত্র তাহমীদ আল মুদাসসির।
ধানমন্ডি রাপা প্লাজার সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার বিচার ও ফ্যাসিবাদ বিষয়ক নানান স্লোগান দিতে থাকেন। এর পর গান ও আবৃত্তির মাধ্যমে নিহতদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে নিহতদের জন্য দোয়া করেন তারা।
শেষে ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে মিছিলটি ফিরে যায়।
এএইচ
আরও পড়ুন