ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে, ব্যাঘাত ঘটবে চিকিৎসা সুবিধার
প্রকাশিত : ১২:৪০, ২৭ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৪৪, ২৭ আগস্ট ২০১৬
রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ছাড়াও প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে ২৪টি। আদালতের রায় অনুসারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হলে সরে যেতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকেও। ছোট-বড় এসব ক্লিনিক বা হাসপাতাল না থাকলে চিকিৎসা সুবিধার ব্যাঘাত ঘটবে বলে মত এলাকাবাসীর। রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে, সবার চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে, স্থানীয় এসব চিকিৎসা কেন্দ্র সরানো যথাযথ হবে না বলেই, মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতই, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর স্থানান্তরে, সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা আছে। সে অনুযায়ী নোটিশও পৌঁছেছে সেগুলো প্রতিষ্ঠানে।
এটি, হলে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাওয়া নিয়ে, নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এলাকাবাসীর।
আবাসিক এলাকায়, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন আছে- এমন মত দিয়ে চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা স্কুল-কলেজের মতো তারাও অনিশ্চয়তা ভুগছেন।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ এলাকায় গড়ে উঠার সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কেন বাধা দেয়নি; বা অনুমতিই কেনো দিয়েছে-এসব প্রশ্নের তীর রাজউক বা সিটি কর্পোরেশনের দিকে ছুঁড়ছেন ভুক্তভোগীরা।
নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর কিংবা আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে, উচ্ছেদ অভিযানে দীর্ঘ মেয়াদী কোন সুফল বয়ে আনবে না বলেই, মত নগর পরিকল্পনাবিদের।
সর্বোপরি, স্কুল-কলেজ, চিকিৎসা কেন্দ্র বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- যাই হোক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরানোর ক্ষেত্রে বাস্তবিক দিক বিবেচনা করেই আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা হবে; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা ধানমন্ডিবাসীর।
আরও পড়ুন