ধুলা বাহিত রোগ থেকে বাঁচতে করণীয় ৭
প্রকাশিত : ০৯:৩৭, ২ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৪:১৬, ১৭ মে ২০১৮
বাতাসে প্রচুর ধুলা ও ফুলের রেণু ভেসে বেড়ায়। এছাড়া ধুলার সঙ্গে ভেসে বেড়ায় বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবানু ও এলার্জেন। এই সব রোগ-জীবাণু, ফুলের রেণু ও এলার্জেন মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে সেনসিটিভ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সর্দি, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, একজিমা, স্কিন এলার্জিসহ নানা সমস্যা হতে পারে। অ্যাজমা ও এলার্জিক রাইনাইটিসের রোগীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। আর এলার্জিক রাইনাইটিসের রোগীদের ক্রমাগত হাঁচি হতে থাকে।
ঢাকা শহরকে বলা যেতে পারে খোঁড়াখুঁড়ির শহর। প্রায় বছর জুড়েই বিভিন্ন রাস্তায় চলে খোঁড়াখুঁড়ি। কখনও পানির লাইনের জন্য, কখনও সিওরেজ সিস্টেমের কাজের জন্য, আবার কখনওবা টেলিফোন লাইনের কাজ করার জন্য চলে খোঁড়াখুঁড়ি। আর একটি সংস্থার সঙ্গে অন্য একটি সংস্থার সমন্বয় না থাকায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারন করে। ফলে একদিকে যেমন সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট, অন্যদিকে খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সৃষ্ট ধুলাবালি স্বাস্থ্যের জন্যেও বয়ে আনে ক্ষতিকর প্রভাব।
তাই এই সময়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। বিশেষ করে অ্যাজমা ও এলার্জিক রাইনাইটিসের রোগীদের বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। এই সময়ে আপনার করণীয়-
১. যে সব রাস্তায় ধুলাবালি বেশি সে সব রাস্তা এড়িয়ে চলুন।
২. প্রয়োজনে মুখে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করুন।
৩. বাসা-বাড়ি প্রতিদিন ঝাড়– দিন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৪. অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলুন।
৫. কিছু দিন পর পর জানালা-দরজার পর্দা পরিষ্কার করুন।
৬. মাঝে মাঝে তোষক, বালিশ, চাদর ইত্যাদি রোদে দিন।
৭. ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ করে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন।
একে// এসএইচ/