নতুন নামে সংগঠিত হচ্ছে জঙ্গিরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০৩, ২৭ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১১:২৫, ২৭ মার্চ ২০২২
জেএমবির চরম দূরবস্থার কারণে জামায়াতুল মুসলেমিন নামে সংগঠিত হচ্ছে জঙ্গিরা। এরইমধ্যে দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ করছে তারা, বেছে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াও। তবে ১০ জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ায় এনিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করছে র্যাব। জঙ্গিদের অর্থদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবার পরামর্শ সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের।
২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা ফাটিয়ে অস্তিত্ব জানান দিয়েছিল জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবি। সারাদেশে তৈরি করে আতঙ্ক।
র্যাবের অভিযানে ভয়ংকর জেএমবি সদস্যরা গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্যে দিয়ে দুর্বল হতে থাকে জেএমবির নেটওয়ার্ক। তবে বসে থাকেনি তারা। আত্মপ্রকাশ করতে থাকে নতুন নামে জঙ্গি সংগঠন।
জঙ্গিরা বড়সর হামলা করে ২০১৬ সালে হলিআর্টিজনে। দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করা হয়। এরপর আরও কঠোর হয় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কিছুদিন চুপ থাকার পর আবারও সংগঠিত হবার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। জামায়াতুল মুসলেমিন নামে জেএমবির মতাদর্শীরা নতুন সংগঠন গড়ার কাজে নেমেছে। তবে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে ১০ জঙ্গি।
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মইন বলেন, “জামায়াতুল মুসলেমিন নামে একটি সংগঠন তারা তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এতে আস্তে আস্তে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং অন্যান্য কার্যক্রম বেগবান করা, পরে ধীরে ধীরে তারা একটি বড় সংগঠনে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা তাদের মধ্যে ছিল।”
সারাদেশে গোপনে নতুন সদস্য সংগ্রহ করছে নতুন এই সংগঠনের নেতারা। জেএমবির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জঙ্গিদের প্রধান্য দিচ্ছে নতুন এই সংগঠনটি।
কমান্ডার মইন আরও বলেন, “যারা জেএমবিতে আগে ছিলেন, তাদের সঙ্গে যারা কাজ করেছেন তাদের মাধ্যমে এই সংগঠনটিকে চাঙ্গা করা, সেই সাথে নতুন সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারেও তাদের ইচ্ছা ছিল।”
জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অর্থদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক।
সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, “জঙ্গিবাদ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর নিয়ন্ত্রণে আছে এবং জনগণের যথেষ্ট সমর্থন আছে এইসব আভিযানিক সফলতার পেছনে। জঙ্গিবাদ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি এবং এটার প্রবণতা আছে। আমাদের অবশ্যই জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে যে, আর্থিক সাহায্যের বিষয়টিকে।”
আর জঙ্গিদের রুখতে অভিযানের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরামর্শ সাবেক এই আইজিপির।
এএইচ/
আরও পড়ুন