নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই অজানা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ইতিহাস
প্রকাশিত : ১৯:৩৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৩৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
আজও অশুভের সাথে আপোসহীনতার দীক্ষা দেয় একুশের চেতনায় গড়ে উঠা শহীদ মিনার। বাঙালীকে দেখায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় হেঁটে চলার পথ। জাতীয় যে কোন সংকটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে উঠে বাঙালীর ঠিকানা। তবে, নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই অজানা ভাষা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ইতিহাস।
১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি পুলিশ প্রথম শহীদ মিনারটি গুড়িয়ে দিলে, প্রতিক্রিয়ায় কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ শিরোনামে লিখেছিলেন এই কবিতা।
মায়ের ভাষা রক্ষার দাবিতে তখন রাজপথে বাংলার দামাল ছেলেরা। ২১শে ফেব্র“য়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। পুলিশের নির্বিচার গুলিতে সেদিন শহীদ হন শফিক, রফিক, সালাম জব্বার, বরকত, শফিউর। ২৩ ফেব্র“য়ারি শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ছাত্ররা। ইঞ্জিনিয়ার শরফুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে শহীদ মিনারের নকশা করেন বদরুল আলম এবং ডাক্তার সাঈদ হায়দার। শহীদ মিনার নির্মাণ শেষ হয় ২৪ ফেব্র“য়ারি। তবে, ২৬ ফেব্র“য়ারি পুলিশ গুঁড়িয়ে দেয় বাঙালীর স্মৃতির সেই মিনার।
এরপর আবারো নির্মাণ করা হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে পাকিস্তানী বাহিনী। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নকশা করেন শিল্পী হামিদুর রহমান। ১৯৫৩ সাল থেকেই ছাত্র-জনতা ২১শে ফেব্র“য়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করতে থাকে। তখন থেকেই শুরু হয় প্রভাতফেরি। ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এই ইতিহাস আজ অনেকেরই অজানা।
ভাষা সৈনিক আহমদ রফিকের মতে, শহীদ মিনার শুধু ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি নয়, তা বাঙালীর অনুপ্রেরণার অনন্ত উৎস।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোট পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে। মনে করা হয়, অতন্দ্র প্রহরী চার সন্তানকে নিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন মা। পেছনে উদীয়মান লাল টকটকে সূর্য। এ’ সূর্য স্বাধীনতার, নতুন দিনের; অন্ধকার ভেদ করে বাঙালী জাতিকে আলোর পথে নেয়ার।
আরও পড়ুন