নতুন বই হাতে উল্লাসে মেতে ওঠার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩২, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
কাগজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানা সংকট কাটিয়ে বছরের প্রথম দিনেই বই উৎসবের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। ইতোমধ্যে স্কুলগুলোতে পৌঁছে গেছে বই।
বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে নিতে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার রীতি বহু বছর ধরে। এবারও নতুন বই হাতে উল্লাসে মেতে ওঠার অপেক্ষায় কোটি কোটি শিক্ষার্থী। অনাড়ম্বরভাবে বই বিতরণে সব প্রস্তুতি নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড এনসিটিবি।
যদিও এ বছর বই ছাপাতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এনসিটিবি। বিশ্ব বাজারে ভালো মানের কাগজের পাল্প সংকট, কাগজ-কালির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের উচ্চ মূল্য, লোডশেডিং, মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেরীতে টেন্ডার করাসহ ছিল বিভিন্ন সংকট।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “এবছর নানা প্রতিকূলতায় প্রাথমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে বিলম্ব হয়েছে। প্রাথমিকের বাচ্চারা বই নিয়ে বেশি আনন্দিত হয়। তাদের এই আনন্দ ধরে রাখার জন্যে প্রাথমিকের বইয়ের উপর বিশেষ জোড় দিয়েছিলাম।”
পরিস্থিতি মোকাবেলায় বইয়ের বাহ্যিক উজ্জ্বলতায় কিছুটা ছাড় দিলেও অন্যান্য মান ঠিক রয়েছে বলে দাবি এনসিটিবি’র। সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া সম্ভব বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “কাগজের অন্যান্য গুণাগুণ ঠিক রেখে সর্বোচ্চ মানের কাগজের ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর একটা ঘোষণা ছিল। সেই অনুযায়ী আমরা বই তৈরি করেছি। মাধ্যমিকে তো ফুল সেট বই তো পাবেই, প্রাথমিকেও আশা করছি ফুটসেট বই পাবে।”
এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে নতুন বইয়ের চাহিদা ৩৪ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীতে প্রায় ৯ কোটি ৯৮ লাখ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রয়োজন ২৪ কোটি ৬৩ লাখ পাঠ্যবই। আর অবাঙালি জাতিগোষ্ঠীর জন্য দরকার ২ লাখ ১২ হাজার বই।
এএইচ