নতুন মুদ্রানীতিকে সময়োপযোগী বলছেন অর্থনীতিবিদরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৬, ২০ জুন ২০২৩
নতুন মুদ্রানীতিকে খুবই সময়োপযোগী বলছেন অর্থনীতিবিদরা। একইসঙ্গে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে মুদ্রানীতির কঠোর বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
মূল্যস্ফীতির চাপে নাকাল সাধারণ মানুষ। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিও খানিকটা চাপের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে রোববার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংকোচনমূলক এই মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। তাই লাগাম টানা হয়েছে মুদ্রা সরবরাহে।
এছাড়া শর্ত দিয়ে তুলে নেয়া হয়েছে সুদহারের সীমা, বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। সরকারি খাতে বাড়িয়ে বেসরকরি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন মুদ্রানীতি খুবই সময়োপযোগী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, “আমি মনে করি, এটা বাস্তবায়ানুগ একটা মুদ্রানীতি হয়েছে।”
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সঠিকভাবে যদি মুদ্রানীতি প্রয়োগ করা হয় তাহলে হয়তো মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে।”
শুধু উন্নয়ন সহযোগীদের পরামর্শ বা চাপে নয়, সময়ের প্রয়োজনেই এমন মুদ্রানীতি, বলছেন তারা।
ড. আতিউর রহমান বলেন, “আমরা প্রোগ্রামের মধ্যে না থাকলেও আইএমএফ সব সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা সারা বিশ্বেই বলে। সুতরাং এটা আইএমএফের কেন হবে, এটা বাংলাদেশের মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি।”
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “দেশের প্রয়োজনে মুদ্রানীতি, এটা আগেই করার উচিত ছিল। এটা রাজনৈতিক কারণে করা হয়নি। যাই হোক, এখন রাজনীতিবিদের সমর্থন নিয়েই এটা করা হয়েছে।”
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে প্রবৃদ্ধিতে। তবুও মুদ্রানীতির কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরানো জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড. আতিউর রহমান বলেন, “প্রবৃদ্ধির বিষয়ে খুব বেশি জোড় দেয়ার পক্ষে নই, এবার ম্যাক্রো ইকোনমিক স্থিতিশীলতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
এএইচ
আরও পড়ুন