নববধূ হত্যাকারীর বিচার দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত : ১৫:০৯, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৪৭, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঝর্ণা আক্তার (১৯) নামে এক নববধূকে গুম ও খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন করেছে নিহতের স্বজনেরা। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তারা এ মানববন্ধন করে। নিহত ঝর্ণা আক্তার উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের রওশন আলমের মেয়ে।
মানববন্ধনে নিহতের বাবা রওশন আলম অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের দাবিতে তাঁর মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন চালাতো ঝর্ণার স্বামী শাহাদাৎ হোসেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতেও ঝর্ণাকে প্রচুর মারধর করেছে তারা। এই মারধরের খবর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পেরে রওশন আলম মেয়েকে আনতে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে আর ঝর্ণাকে খোঁজে পাননি তিনি।
এসময় তাঁর মেয়ে কোথায় আছে, জানতে চাইলে ছেলে পক্ষের লোকজন জানায়, তাঁর মেয়ে পালিয়েছে। এরপর মেয়েকে নানা জায়গায় খোঁজে না পেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধামরাই থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং- ১১১৮। তবে দিন অতিবাহিত হলেও মেয়ের কোন খোঁজ না পাওয়ায় গত ১০ অক্টোবর ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি।
এ বিষয়ে একুশে টেলিভিশন (অনলাইন) এর প্রতিবেদকের কাছে রওশন প্রশ্ন করেন, একই জেলার ধামরাই উপজেলার বড় কুশিয়ারা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন ( ২২) এর সঙ্গে ঝর্ণার কিছুদিন আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে ঝর্ণা আক্তারের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাতে থাকে শাহাদাতের পরিবারের লোকজন। আর এভাবেই একদিন তাঁর মেয়েকে হত্যা ও গুম করেন ঝর্ণার স্বামী শাহাদাৎসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় নিহতের স্বামী শাহাদাৎ হোসেনকে (২২) প্রধান করে সাত জনকে আসামী করা হয়েছে। ওই মামলায় ইতোমধ্যে পুলিশ সাইদুল ও মোস্তফা নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে শাহাদাৎকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি (তদন্ত) নূরনবী সরকার একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দুজন আসামীকে গ্রেফতার করেছি। মামলাটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আশা করছি খুব শিগগিরিই বাকি আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
এএ/ এমজে
আরও পড়ুন