নবাবগঞ্জে আজ আসছেন আজহারী, ব্যাপক প্রস্তুতি
প্রকাশিত : ১২:৪০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2020June/Azhari-2502080640.jpg)
আজ শনিবার নবাবগঞ্জে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে যোগ দিতে আসছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। মাহফিলকে ঘিরে ইতিমধ্যে নবাবগঞ্জ ও দোহারসহ আশেপাশের উপজেলাগুলো জুড়ে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
উপজেলার বারুয়াখালীতে ঢাকা বিভাগীয় এ মাহফিলের আয়োজন করেছেন বারুয়াখালি মাহফিল পরিচালনা কমিটি।
জানা যায়, সবকিছু ঠিক থাকলে সকাল ১০ থেকে শুরু হওয়া তাফসীরুল মাহফিলের প্রধান বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর বয়ান শুরু হবে বাদ জোহর।
মাহফিলে বয়ান করবেন মওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, হাফেজ কারী শেখ সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ কারী আব্দুল ওয়াহাব দোহারী ও মাওলানা মহিবুল্লাহ রুমান।
মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান শিকদারের সভাপতি প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।
আয়োজকদের ধারণা, মাহফিলে কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে। ইতিমধ্যে বারুয়াখালীতে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ১ সপ্তাহ ধরে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করতে দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকরা। তাদের সাথে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় দিনমজুর, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, আজাহারীর মত এত বড় বক্তা বারুয়াখালীতে আসবে এটা আমাদের সৌভাগ্য। লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে তাই বিশাল জমির দরকার ছিল। আমরা বিনামূল্যে নিজেদের কৃষি জমি মাহফিলের জন্য দিয়েছি। হয়তো এ মৌসুমে ফসল পাব না এতে হয়তো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হব। এতে আমাদের বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই। আশা করি, সকলের সহযোগিতায় মাহফিল ভালভাবে শেষ হবে।
আয়োজক কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, শ্রোতাদের জন্য মোট ৭টি মাঠ প্রস্তুত, এরমধ্যে ৬টি মাঠ শুধু নারীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। পাশাপাশি গাড়ি পাকিং জন্য আরও ১২টি মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৭টি মাঠে এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আজহারীর মাহফিলকে কেন্দ্র করে পোস্টারিং ছাড়াও অনলাইন, অফলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চলছে।
বারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন খান বলেন, ঐতিহাসিক এ মাহফিলকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাহফিলে আগতের নিরাপত্তায় কাজ করবে। পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাহফিলকে সুন্দর করতে কাজ করবে। মহিলা শ্রোতাদের জন বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্বেচ্ছায় কাজ করছে। সকলের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে মাহফিল শেষ হবে আশা করি।
দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, কয়েক লাখ লোক সমাগমের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও মাহফিলের আয়োজক কমিটি দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন। জনভোগান্তি এড়াতে ও মাহফিলে আগতদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। আয়োজক কমিটির চাহিদা মোতাবেক ২ শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করবে সর্বদা।
মাহফিল সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন