নভেম্বরে খুলছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০৬, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অবশেষে নভেম্বরে খুলে দেয়া হচ্ছে পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তবে কয়েকদফা সময় ও ব্যয় বাড়লেও মাঝপথে যাত্রী ওঠা-নামার পথ এবং র্যাম্প তৈরির কাজ শুরু করতে পারেনি এখনও।
পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয় ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে কাজ শুরু হলেও দফায় দফায় নকশা পরিবর্তন, ভূমি জটিলতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লেগে যায় প্রায় ৫ বছর। শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।
প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। এর ফলে আর্থিক অনিয়মের সুযোগও বেড়ে যায় বলে মনে করেন তারা।
ব্যবসায়ী ও শিল্পউদ্যোক্তা এস এম আবু তৈয়ব বলেন, “লিংক রোড হচ্ছে গাড়ি পাস করার জন্য কিন্তু সেখানে বাজার হয়ে যাচ্ছে। তাতে যানজটের সৃষ্টি হবে।”
আইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, “ব্যয়িত অর্থে যেসব সুবিধা জনগণ পাওয়ার কথা কিন্তু জনগণ সেই সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। এই ধরনের প্রকল্পগুলো ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে।”
সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংশোধিত নকশায় র্যাম্প রাখা হয়েছে ১৪টি। আগামী নভেম্বরে এই র্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
সিডিএ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, “এতে ১৪টি র্যাম্প সংযুক্ত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে র্যাম্পে টেন্ডার করপা হয়েছে। আশা করছি, অক্টোবর-নভেম্বর থেকে র্যাম্পে কাজ শুরু হবে।”
এরমধ্যে মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, “চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে শহরের লালখান পর্যন্ত আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, নব নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নামকরণ করা হয় চট্টগ্রামের প্রায়ত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন হলে এই প্রকল্পের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট নিরসনে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ