ঢাকা, রবিবার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫

নর্দান এডুকেশন গ্রুপের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলের ষড়যন্ত্র: নেপথ্যে কৃষিবিদ গ্রুপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৯, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ২০:০১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্দান মেডিকেল কলেজ একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের শিকার বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রে নেমেছে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি। 

জানা যায়, এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনৈক বোরহান উদ্দীন ও লুতফর রহমান সানি। এদের মদদ দিচ্ছে কৃষিবিদ গ্রুপের কয়েকজন কর্মকর্তা।  

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রাস্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউসুফ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে এই চক্র। উদ্দেশ্য নর্দান এডুকেশন গ্রুপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে দখলে নেওয়া। 

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, প্রফেসর আব্দুল্লাহর সামাজিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এই সংঘবদ্ধ চক্র প্রথমত মিডিয়া ও হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট প্রোপাগান্ডা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা শুরু করে। সুপরিকল্পিতভাবে মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ও জনমনে ধোঁয়াশা ছড়িয়ে দেয় এই চক্র। নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ট্রাস্ট হস্তান্তর ও ড. ইউসুফ আব্দুল্লাহর মালিকানা প্রসঙ্গে একটি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। এরপর প্রফেসর আব্দুল্লাহ, তার পরিবার সন্তান ও তার অফিসের একাধিক নিরীহ কর্মকর্তার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া দেয়। 

প্রফেসর আব্দুল্লাহ, তার পরিবার ও তার অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে তারা কৌশলে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দখলের পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও অফিসে এক এক করে তিনবার অতর্কিত হামলা করে অবৈধ দখলের চেষ্টা চালানো হয়। 

বোরহান উদ্দীন ও লুতফর রহমান সানির পাশাপাশি এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা কৃষিবিদ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলী আফজাল ও তার দোসর সহযোগীরা। যার মধ্যে রয়েছে - মোঃ হারুন অর রশিদ, লোকিয়ত উল্লাহ, জুবায়ের আহম্মেদ ভুঁইয়া, মোহাম্মদ আলমগীর, আবুল বাশার মোঃ সালাহউদ্দিন, তারিকুর রব্বানি ভুঁইয়া। 

এস কাজে দুস্কৃতকারী এই চক্র সহযোগিতা নিচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলের প্রাক্তন কিছু ছাত্র নেতাদের, যে দলটি ইসলামিক আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত। 

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ট্রেজারার ও আইবিএ শিক্ষক প্রফেসর ড. শামসুল হক ও তার সহকর্মী আবু বকর সিদ্দীক। জানা যায় বোরহান উদ্দিন এবং লুৎফর রহমান সানি ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা। তারা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সে সময়ের ট্রাস্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শামসুল হক ও অন্যতম ট্রাস্টি আবু বক্কর সিদ্দিকীর সরলতার সুযোগে পুরাতন ট্রাস্টী বোর্ডের অর্ন্তভূক্ত হন। 

বোরহান উদ্দিন ও লুতফর রহমান সানি জাল কাগজপত্র করে ১০ টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি উন্নয়নের নামে নেওয়া ঋণের টাকা প্রতিষ্ঠানের কাজে না লাগিয়ে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছে। তাদের দুর্নীতি, অর্থলিপ্সা এবং অনৈতিকতার কারণে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় সে সময় আর্থিক সংকটে পড়ে ও ঋণ খেলাপি হয়। 

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অর্থের ও মালিকানা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে কৃষিবিদ গ্রুপের এই দুষ্টুচক্র। বোরহান উদ্দিন ও লুতফর রহমান সানি ছিলেন আওয়ামী দোসর। তাদের সঙ্গে একাধিক আওয়ামী মন্ত্রীর সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। জুলাই অভ্যুত্থানের পর মুখোশধারী এই চাঁদাবাজরা নতুন পরিচয়ে বিভিন্নভাবে এখন রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি