নাটোরে যুবলীগ নেতার কব্জি কর্তন, গ্রেফতার ৫
প্রকাশিত : ১৫:০৪, ২৫ জুলাই ২০২৩
নাটোরে কুপিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীর হাতের কব্জি কর্তনসহ ৫ জনকে জখম করার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানসহ ৩০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় ৫ জনেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ১২টার দিকে আহত যুবলীগ নেতা মিঠুনের ছোট ভাই স্বপ্ন বাদশা বাদি হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে শহরের বলারিপাড়া এলাকায় পৌর ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীকে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মিঠুনের ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয় মিঠুনের সমর্থক আরও ৪ জন।
এ ঘটনায় মিঠুনের ছোট ভাই স্বপ্ন বাদশা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানসহ বেশ কয়েকজন জেলা আওয়ামী লীগ নেতার নাম রয়েছে। এরপর পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারবুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা আলী বাবলু (৬০), নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাক আলী মুকুল (৫২), জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নান্নু শেখ (৫০), মোঃ সোহাগ (২৭ মোঃ আশরাফ (৫০), (০৭) রিপন (২৮), সাব্বির (২৮), মাহতাব (২৭), তোতা (১৬), আলম (৪৫), সাইফুল (৪০), নাহিদ (৪৫), জীবন (৩২), শরীফ (৩৫), শুভ (২২), তরিকুল (২৮), আশা (৩২), ঈমন (২৭), জিহাদ (২৭), অনন্য (২৮), সিজু (২৭) সাব্বির (২৯), হাসান (৩০), জনি (৩৫), ওবায়দুল সরদার (৪০), রুমন (২৬), মহসিন (৩১), নাসির (২৭) এবং সেন্টু। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলা দায়ের আগে সোমবার (২৪ জুলাই) বিকালে এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির দাবিতে জেলা যুবলীগের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরর রহমান খান চৌধুরী এহিয়ার নেতৃত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য,এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু শেখ এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধে গত ১৬ এপ্রিল যুবলীগ নেতা মিঠুনসহ তার সমর্থকরা সাবেক কাউন্সিলর নান্নু শেখকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর থেকেই এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। রোববার রাত ১০টার দিকে মিঠুনসহ তার সমর্থকরা বলারীপাড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় রাজার পুকুর পাড়ে মুখোশপড়া অবস্থা ২০-২৫ জন যুবক মিঠুনের ওপর হামলা করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার হাতের কব্জি কেটে দেয়। এ সময় মিঠুনকে বাঁচাতে গেলে মিঠুন সমর্থক আরমান আলী,বকুল মিয়,জাহেদুল ও আব্দুল্লাহ রাব্বিসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন