নাবিকদের সঙ্গে দূতাবাস কর্মকর্তা-মালিকপক্ষের সাক্ষাৎ
প্রকাশিত : ১০:২৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ দেশে ফিরতে পারে। জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, নাবিকদের সাথে কথা বলেই দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজন দুবাই থেকে উড়োহাজাহাজে দেশে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন। জাহাজটি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ হামিরিয়া বন্দরের জেটিতে রয়েছে।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রায় ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিয়ে এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের শারজাহ হামিরিয়া বন্দরে এমভি আব্দুল্লাহ।
স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার পর বহির্নোঙ্গর থেকে হামিরিয়া বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করে জাহাজটি। সেখানে নাবিকদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশ দূতাবাস ও মালিকপক্ষের কর্মকর্তারা।
ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আমাদেরকে মুক্ত করে আনা হয়েছে। সেজন্য সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, জাহাজের নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন।
২৩ নাবিকদের মধ্যে দু’জন এরইমধ্যে দুবাই থেকে উড়োজাহাজে দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাকিরা জাহাজের সঙ্গেই দেশে ফিরবেন কিনা সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে দুবাই থেকে সরাসরি দেশে ফিরতে চাইলে নাবিকদের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে হবে বলে জানায় মালিকপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসসহ সব অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।
কেএসআরএম গ্রুপ ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শাহরিয়ার জাহান বলেন, “জাহাজ খালাস করতে সাধারণত ৫-৭ দিন লেগে যায়। তারপরের বিষয়টি জাহাজটি চট্টগ্রামে নিতে পারছিনা। এগুলোর সিদ্ধান্ত পর্যায়ক্রমে হবে।”
উড়োজাহাজে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সব ধরনের সহায়তা করবে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
গেল ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালি উপকূলে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে জলদুস্যরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার পর ১৩ এপ্রিল মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ ও তার ২৩ নাবিক।
এএইচ
আরও পড়ুন