নারী কনস্টেবল ও কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ১৫:২৯, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
পটুয়াখালীতে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল ও এক কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল তৃষা বিশ্বাস (২২) ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়া মনি আক্তার (১৮)।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত তৃষা বিশ্বাস পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সের নারী ব্যারাকের তৃতীয় তলার ৩ নাম্বার রুমে থাকতেন। আজ রোববার সকালে তাঁর ব্যাচমেট অর্পণা ও ফাতেমা ডিউটিতে অংশ নিলেও তৃষাকে দেখা যায়নি। পরে তাঁর আরেক সহকর্মি ইতি রানী মালো তৃষাকে ডাকতে ব্যারাকে তৃতীয় তলায় যান। এসময় ইতি রানী রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে তৃষার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে ঊর্ধ্বতন খবর দেন।
পরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নুরুল আক্তার নিলয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসানের উপস্থিতিতে তৃষার মরদেহ নামানো হয়।
নিহত তৃষা বিশ্বাসের বাড়ী মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামে। সে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তার বিপি নম্বার ১২৫৫। তৃষার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল আনন্দ বৈদ্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, তৃষার রুমে কিছু ওষুধ ও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যায়, সে মানসিক ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, তৃষা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
অপরদিকে, পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ জানান, আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী রিয়া মনি আক্তারের রুমমটেরা নাস্তা করতে ডাইনিংয়ে যায়। এই ফাঁকে রিয়া মনি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় নাহিয়ান নামে এক যুবক রিয়া মনিকে তাঁর স্ত্রী দাবি করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, রিয়া মনির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশমিনা উপজেরার নাহিয়ান নামে এক যুবককে আনা হয়েছে। রিয়া মনি দশমিনা উপজেলার পূজাখোলা এলাকার মনিরুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন