ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

নার্সিং পেশার উন্নয়নে প্রস্তাবনা (২য় কিস্তি)

ছৈয়দ আহমদ তানশীর উদ্দীন 

প্রকাশিত : ১১:০৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

প্রথম পর্বে আলোচনা করেছিলাম নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, অবৈধ নার্সিং প্রাকটিস বন্ধকরণ, আবাসন সংকট নিরসন, উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি ও বিশেষায়িত নার্সিং শিক্ষা চালু ইত্যাদি বিষয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় নার্সিং পেশার মানোন্নয়নে আরো কিছু প্রস্তবনা পেশ করলাম-

কর্ম ঘণ্টা নির্ধারণ
আন্তর্জাতিক শ্রম ঘণ্টা অনুযায়ী একজন মানুষ দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করেন, সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা। কিন্তু নার্সরা রোস্টার ডিউটির কারণে কর্ম ঘণ্টার চেয়ে বেশি কাজ করেন। তাছাড়া সরকারি দিবসগুলোতে অথবা যেকোন রাষ্ট্রীয় সংকটে যেমন- প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় দুর্ঘটনা, হরতাল, মহামারিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব  পালন  করেন।

আরও পড়ুন : নার্সিং পেশার উন্নয়নে প্রস্তাবনা (১ম কিস্তি)

ঝুঁকিভাতা চালুকরণ 
হাসপাতালে কাজ করার সময় নার্সরা বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়েন। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করার কারণে কোমর ব্যাথা, ডিভিটি, এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। নার্সদের শরীরে দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাবের কারণে এটি স্বাস্থ্যসেবায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করলে তারা উৎসাহিত হবেন। তাছাড়া যারা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে কাজ করেন তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা চালু করা দরকার। এতে কাজের স্পৃহা বাড়বে।

বাৎসরিক পুরস্কার প্যাকেজ ঘোষণা
বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নার্সদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা এবং যাদের মানোন্নয়নের প্রয়োজন তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে। সবার কর্মক্ষমতা অনুযায়ী পুরস্কার প্যাকেজ ঘোষণা করা। এতে কাজের স্পৃহা ও গতি বাড়বে।

নার্সিং গবেষণা চালু
নতুন নতুন আবিস্কৃত রোগের নার্সিং কেয়ার নিয়ে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের জন্য কি কি গবেষণা প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। পর্যালোচনা ভিত্তিক সেটি একটি গাইডলাইন তৈরি করা। একটি নার্সিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট চালু করা, যা প্রান্তিক দুর্গম অঞ্চলের নার্সদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে।

লেখক- নার্স ও পুষ্টিবীদ, কক্সবাজার 
ইমেইল- syedahmedtanshiruddin@gmail.com

এআই/এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি