নাসিরনগরে ভুট্টা চাষে সফল আমীরুল
প্রকাশিত : ১৮:৫৯, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চল নামে খ্যাত গোয়ালনগর ইউনিয়নের রামপুর ও নোয়াগাওয়ে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভূট্টাচাষ করে সফল হয়েছে কৃষক আমীরুল। প্রতিকানি জমিতে প্রায় ৩০ মন ফলন হয়েছে তারা। বর্তমান বাজারে প্রতিমন ভুট্টা ১২ থেকে ১৪ শ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
রামপুর গ্রামের কৃষক আমিরুল হক একশ বিঘা জমিতে, নোয়াগাওয়ের ভজন দাস পচিশ বিঘা, বল্টু মেম্বার ৫ বিঘা, দুলাল মিয়া পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। তারা জানায় আগে তারা এ জমিগুলোতে বাদাম আর ধান চাষ করতেন। তখন তারা তেমন লাভবান হতেন না। প্রতিবিঘা জমির ফসল বিক্রি করে বছরে চার পাঁচ হাজার টাকা লাভবান হতেন। এবার ভুট্টা বিক্রি করে বিঘা প্রতি বিশ পচিশ হাজার টাকা লাভবান হবেন বলে ধারণা করছেন তারা।
কৃষক আমিরুল হক জানায়, তিনি গত বছর অষ্টগ্রামে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে ভুট্টার বাম্পার ফলন দেখে এটি চাষের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখন তিনি ওই এলাকার একজন ভুট্টাচাষীকে খুঁজে বের করেন। তার কাছ থেকে ভুট্টা চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেন। এরপর স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত পরামর্শ নিয়ে একশ বিঘা জমিতে ভুট্টাচাষ করেন।
কৃষক আমিরুল জানান, তার একশ বিঘা জমি চাষ করতে এ পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ভুট্টা একটি লাভজনক ফসল। ওই এলাকার মাটি ভুট্টাচাষের উপযোগী। এ বছর এই এলাকায় প্রায় দুইশ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। আশা করি আগামী বছর ওই এলাকার এক বিঘা জমিও খালি থাকবে না। সব জমিতেই ভুট্টার চাষ হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভুট্টা একটি লাভজনক ও দানাদার ফসল। কৃষক আমিরুলকে কৃষি অফিস থেকে যাবতীয় সহযোগিতা দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় ৩০ মন ফসল উৎপাদন হয়েছে। প্রতি মণ এক হাজার টাকা করে বিক্রি হলেও প্রতিবিঘা জমি থেকে ত্রিশ হাজার টাকার ফসল বিক্রি হবে। তাতে কৃষকের প্রতি বিঘার খরচ বাদেও বিশ হাজার টাকা করে লাভ থাকবে।’
তার ধারণা একশ বিঘা জমিতে দশ লাখ টাকা খরচ হলে লাভ হবে বিশ লাখ।
এসএ/
আরও পড়ুন