ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নায়িকাদের যৌনতা যতটা আলোচিত নায়কদের ততটা নয় : কঙ্গনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

২০০৬ সালে অনুরাগ বসুর ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন কঙ্গনা রানাউত। অভিষেকেই ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। এরপর ‘ফ্যাশন’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইসম ইন মুম্বাই’, ‘তনু ওয়েডস মনু’ ও ‘কুইন’ সহ একাধিক সাড়াজাগানো সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এ অভিনেত্রী। সর্বশেষ বিশাল ভরদ্বাজের ‘রেঙ্গুন’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। তবে তিনি নন্দিত ও নিন্দিত দুটোই হয়েছেন।


কদিন আগেই পরিচালক করণ জোহরকে স্বজনপ্রীতির ধারক ও বাহক বলে মন্তব্য করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। ফিল্ম ইন্ড্রাস্টির নানা অসঙ্গতি ও নারীদের প্রতি বৈষম্য নিয়ে সোজাসাপ্টা কথা বলার জন্য সাহসী ও নারীবাদী অভিনেত্রী হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে তাকে।


ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ‘নারীবাদী অভিনেত্রী’ হিসেবে অ্যাখ্যা পাওয়া প্রসঙ্গে ‘রেঙ্গুন’ অভিনেত্রী বলেন, আমি আমার সব পরিশ্রম ও সময় দিয়ে একটি সিনেমা করবো তবে কেন তাতে আমার চরিত্রের কোনো গুরুত্ব থাকবে না? শুরু থেকেই আমি নারীপ্রধান চরিত্রে অভিনয় করে এসেছি এবং তাতে সাফল্যও পেয়েছি। পুরুষপ্রধান চরিত্রের পাশে অগুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্রে যে সিনেমাগুলোতে আমি অভিনয় করেছি সেগুলোই বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ‘রেঙ্গুন’ দিয়ে সর্বশেষ আমি এটিই বুঝেছি যে, নামী-দামী তারকাদের সঙ্গে নয় বরং নারীপ্রধান, বলিষ্ঠ চরিত্রেগুলোতেই দর্শক আমাকে দেখতে ভালোবাসে।


তিনি আরও বলেন, নারীবাদ কোনো ভুল ধারণা নয়। দীর্ঘদিন ধরে পুরুষতন্ত্র নারীদের যে ক্ষতি করেছে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে নারীবাদকে দেখি আমি। তাই আমাকে নারীবাদী বলা হলে আমার খারাপ লাগে না। আমরা একটি অসুস্থ সমাজে বাস করি যেখানে নারীদের নিয়ে সব সময়ই নানা কুকথা প্রচার করা হয়। এমনকি এ সমাজে অভিনেত্রীদের যৌনজীবন যতটা আলোচিত ততটা অভিনেতাদের নয়- এ বৈষম্যগুলো তো রয়েছেই। তাই আমার কাছে মনে হয় এ অসুস্থ সমাজের জন্য নারীবাদের চেয়ে বড় কোনো ওষুধ নেই।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি