নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল, চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-১ জারি
প্রকাশিত : ১৮:৪০, ২৫ মে ২০২৪
উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি। বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাগরের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ২টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। এ ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করেছে।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান আছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করবো।’
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া ৫ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত বিপদ সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করে। তখন বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। জেটি থেকে জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব অ্যালার্ট-৪’ জারি করে। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কেআই//
আরও পড়ুন