নির্বাচন নিয়ে সংলাপে যা বললেন বি. চৌধুরী
প্রকাশিত : ২২:০৭, ২ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৫৫, ২ নভেম্বর ২০১৮
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে চলছে যুক্তফ্রন্টের সংলাপ। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট তাদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানায়। শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় সংলাপ।
সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে, সম্ভব না হলে নিষ্ক্রিয় করতে হবে;
নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত করতে হবে। ক) নির্বাচন কমিশন শতভাগ রাষ্ট্রপতির অধীনস্থ করতে হবে খ) তফসিল ঘোষণার পর সংসদ সদস্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন/ প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় আইন করে মন্ত্রী ও এমপিদের সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে। গ) সরকারি দলের প্রর্থীদের বিল বোর্ড, ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার বা জাতীয় সরকার গঠনে প্রয়োজনে এক দিনের জন্য সংসদ ডাকতে হবে। অথবা মন্ত্রিপরিষদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা জোট থেকে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দিয়েও একটি সন্তোষজনক নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। নির্বাচনে সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার অথবা বর্তমান সরকারের নির্বাচন বিষয়ে সম্পূর্ণ ক্ষমতা সীমিত করতে হবে।
আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আমাদের জন্য গর্বের। তারা বিভিন্ন দেশে নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধ ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ সুনামের সঙ্গে করে আসছে। সুতরাং নির্বাচনের আগে ও পরে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে- সেহেতু আমাদের প্রস্তাব: ক) আমাদের প্রিয় সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এবং নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর পর্যন্ত মোতায়েন করতে হবে। খ) নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনীকে সীমিত ক্ষমতা দিতে হবে যেমন, আটক রাখার ক্ষমতা ও তাদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে দিতে হবে। যাতে করে ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে;
ইভিএম: আধুনিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক নির্বাচনে আমাদের অনেক আগ্রহ আছে, কিন্তু ইভিএম সম্পর্কিত যে সব প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা অর্জন প্রয়োজন তা আমাদের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথেষ্ট নেই। সেই জন্য আমরা এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সঠিক হবে না বলে মনে করি;
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে আটক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে; এবং নির্বাচন সম্পর্কিত মামলা নির্বাচনের পর এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে।
টিআর/
আরও পড়ুন