নির্মাণ ব্যয় বাড়বে না, তৈরি হচ্ছে এমন ইট (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
ভবনের নির্মাণ ব্যয় বাড়বে না; রক্ষা পাবে পরিবেশও। এমন ইট তৈরির প্রযুক্তি নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই কাজ করছে দেশে। ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
ভবন নির্মাণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ইট। দেশে এখন বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ইটের ভাটা আছে আট হাজারেরও বেশি, যেখান থেকে বাংলাদেশের মোট কার্বন নির্গমণের প্রায় এক চতুর্থাংশই হয়ে থাকে। সাথে বাতাসে ছড়াচ্ছে সালফার ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড বা কার্বন ব্ল্যাকের মতো বিষাক্ত পদার্থ। এছাড়া ইটভাটায় মাটির যোগান দিতে নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি।
পোড়া মাটির ইটের বদলে হলো ব্লকের ব্যবহার শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। সম্প্রতি ষাট শতাংশ বালি, পঁয়ত্রিশ শতাংশ ছাই আর পাঁচ ভাগ সিমেন্ট মিশ্রণে পরিবেশবান্ধব সাশ্রয়ী ইটের উৎপাদনও হচ্ছে দেশে। তবে প্রচার-প্রচারণার অভাবে এ ধরনের ইটের ব্যবহার প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি।
উৎপাদকরা জানান, পুরোটাই পরিবেশবান্ধব, মাটিবিহীন এবং পোড়াবিহীন। এরকম একটা ইট তৈরি করতে খরচ হয় ৪ থেকে পাঁচ টাকা। পরিবেশবান্ধব যে ইটগুলো বের হয়েছে সেগুলো এখনও ওইভাবে প্রচার পায়নি।
কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে পরিবেশবান্ধব ইটের ব্যবহার শুরু করেছে।
আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, ‘শতভাগ করতে পারেনি তবে ৮০ শতাংশ ইকো ব্রিকস ব্যবহার করছি। হলো ব্রিকস ইটের থেকে ওজন কম, সেই ক্ষেত্রে আপনি যখন রডের ব্যবহার করবেন তখন এটা প্রেসার ইনশিওর করে।’
২০২৫ সালের মধ্যে প্রচলিত পোড়ামাটির ইট ব্যবহার বন্ধ করতে চায় সরকার। নীতি সহায়তা পেলে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব বলছে রিহ্যাব।
রিহ্যাব সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, সরকারের নীতিমালা এবং তাদের যে ইচ্ছা আছে, তার মধ্যে যদি আমরা চেষ্টা করি তাহলেও আমরাও তা পূরণ করতে পারবো।
বাংলাদেশে বছরে ইটের ব্যবহার প্রায় ২০ কোটি।
এএইচ/